জীবনযাত্রায় কিছু অনিয়মের জেরে ব্লাড প্রেশার সংক্রান্ত সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। এমন কথা বলছেন খোদ চিকিৎসকরা। যদি প্রতিদিনের যোগাসন নিয়ম মতো না করা হয়, তাহলে কম বয়সীদের মধ্যেও হাইপারটেনশনের রোগ দেখা যেতে পারে। আর অনিয়ন্ত্রিত হাইপারটেনশন যদি বাড়তে থাকে, তাহলে তা মাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে।
ঘুম ও ব্লাড প্রেশার
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খুব কম মানুষই জানেন যে ঘুম ঠিক করে না হলে সমস্যা বাড়তে পারে ব্লাড প্রেশারের। ফলে কীভাবে ঘুমোচ্ছেন আর কত ঘণ্টা ঘুমোচ্ছেন, তার ওপর নির্ভর করে ব্লাড প্রেশার সংক্রান্ত অনেক কিছুই। চিকিৎসক তৃপ্তি গিলাডা বলছেন, ভালভাবে শ্বাস প্রশ্বাস নিয়ে অন্তত দিনে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টার ঘুম প্রয়োজন ব্লাড প্রেশারের রোগীদের। তিনি বলছেন, ভাল ঘুম পেতে কফি বা মদ থেকে দূরে থাকা ভাল। এছাড়াও দিনের বেলায় ঘুমানো বা বেশি রাত জাগাও ঠিক নয়। পুত্রের চেয়ে কন্যা সন্তান দত্তক নিতেই বেশি আগ্রহী অভিভাবকরা! কী বলছে রিপোর্ট?
কোন পাশ ফিরে ঘুমানো উচিত ব্লাড প্রেশার রোগীদের?
তৃপ্তি গিলাডা বলছেন, 'বাঁ দিকে শুয়ে ঘুমানো খুবই উপকার দেয় হাইপারটেনশনের রোগীদের। ' তিনি বলছেন যে সমস্ত গর্ভবতী মহিলাদের হাইপারটেনশনের সমস্যা রয়েছে তাঁদেরও উচিত বাম পাশ ফিরে শোয়া। তিনি বলছেন, এতে রক্ত চলাচল সঠিক থাকে, ফলে ব্লাড প্রেশারের রোগীদের পক্ষে তা ভাল ফল দেয়। তবে চিকিৎসক পূজান পারিখ বলছেন, ব্লাড প্রেশারের রোগীদের জন্য সেভাবে ঘুমের কোনও সঠিক দিক থাকে না। তবে যথেষ্ট ঘুম তাঁদের প্রয়োজন। তবে তিনি বলছেন, হাঁটু মুড়ে সামনের দিকে ঝুঁকে শোয়া বা পেটের ওপর ঝুঁকে শোওয়া খুবই উপকার দিতে পারে। রাতে রোজ রুটি খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে? সুস্থ থাকতে সতর্ক হোন এখনই, কিছু টিপস
হার্ট ভাল রাখতে ঘুম প্রয়োজন
চিকিৎসক রাকেশ রাজপুরোহিত বলছেন, হার্ট ভাল রাখতে হলে পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞদের মতে রাতে চিন্তা নিয়ে বিছানায় উঠলে হার্টের সমস্যা লেগে থাকতে পারে। রাকেশ রাজপুরোহিত বলছেন, 'ঘুমের পজিশন নিয়ে খুব কমই জানা গিয়েছে। তবে গবেষণা বলছে, ভাল ঘুম না হলে বা ঘুম কম হলে হার্টের অসুস্থতার ঝুঁকি বাড়তে পারে।' তবে তাঁর মতেও গর্ভবতী মহিলাদের বাঁ পাশ ফিরে শোওয়া খুবই কার্যকরী ফল দেয়।