কিছুদিন আগে কেন্দ্রের তরফ থেকে বেশ কিছু ওষুধ ব্যান করে দেওয়া হয়েছে। এই ওষুধগুলি একাধিক ওষুধের সংমিশ্রণ, শরীরের ওপর খারাপ প্রভাব পড়তে পারে বলে কিছু বিশেষ ধরনের ওষুধকে ব্যান করে দেওয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এবার জাল ওষুধ আটকানোর জন্য QR কোড চালু করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হলো।
এই QR কোড ওষুধের সত্যতা যাচাই করবে কারণ এই কোড স্ক্যান করলেই প্রস্তুতকারকের নাম এবং ঠিকানা দেখতে পাবেন গ্রাহকরা। এছাড়া QR কোড স্ক্যান করলে দেখা যাবে ব্যাচ নম্বর, প্রস্তুত করার তারিখ, মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ এবং অন্যান্য বিবরণ সহ লাইসেন্স নম্বর।
এই QR কোড মূলত অ্যালেগ্রা, শেলকাল, ক্যালপল, ডলো এবং মেফটাল স্পাসের মতো ৩০০টি ওষুধের ব্র্যান্ড গুলিতে বারকোড বা QR কোড কঠোরভাবে প্রয়োগ করার জন্য এই পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
(আরও পড়ুন: শুধু খাবারের প্লেটে নয়, কারি পাতা ব্যবহার করুন এই ৫টি দুর্দান্ত উপায়ে)
এই প্রসঙ্গে এক ওষুধ প্রস্তুতকারক কর্মকর্তা বলেন, ‘গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত ড্রাগস টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি বোর্ডের বৈঠকে ভ্যাকসিন, ক্যানসারের ওষুধ এবং অ্যান্টিবায়োটিকের ওপর QR কোড প্রদর্শনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল। রোগীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যই এবং দেশে ওষুধের গুণমানের উপর নজর রাখার জন্য এই অভিনব পদক্ষেপ নেওয়া।’
ড্রাগস রুল ১৯৪৫ অনুসারে, ভ্যাকসিন ক্যানসারের ওষুধ এবং অ্যান্টিবায়োটিক ওষধ গুলি সিডিউল এইচ-এর অধীনে পড়ে। এগুলি প্রেসক্রিপশন ছাড়া কখনওই বিক্রি করা সম্ভব নয়। তাই জনগণের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া।
ওষুধ এবং ভ্যাকসিনের বাজার
CRISIL মার্কেট ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড অ্যানালিটিক্স জানিয়েছে, দেশীয় ভ্যাকসিনের বাজারের আকার অনেক বড়। ২০২৪ অর্থ বর্ষে ভ্যাকসিনের বাজার থেকে আয় হয়েছে ১,৭৩০ কোটি টাকা। ২০২৯ সালে ৫.৬৩ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। ২০২৯ সালে ভ্যাকসিনের বাজার ১.৩১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে যাবে।
(আরও পড়ুন: ৬৩ বছর বয়সেও তরুণ এবং দুর্দান্ত সুনীল শেট্টির রহস্য কী? কী ত্যাগ করেছেন ডায়েটে?)
ক্যানসারের ওষুধের ক্ষেত্রে বাজারের আকার ২০২৪ সালে ১.৮৩ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২৯ সালের ২.৬২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতীয় অনকোলজি ওষুধের বাজার ১০.৬ বিলিয়ন মূল্য অর্জন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।