রাখি উৎসবের মতোই ভাইফোঁটাও (Bhai phota 2024) ভাই বোনদের সম্পর্ক দৃঢ় করার অন্যতম একটি উৎসব। এই দিন ভাইদের মঙ্গল কামনায় বোনরা সারাদিন উপোস করে ভাইয়ের কপালে ফোঁটা দেন। এই ফোঁটা সাধারণত দেওয়া হয় চন্দন দিয়ে। তবে চন্দন ছাড়াও কাজল এবং দই দিয়েও ফোঁটা দেওয়া হয় ভাইকে। কিন্তু কেন এই নিয়ম? এর নেপথ্যে রয়েছে কী কারণ?
প্রতি বছর কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষে দ্বিতীয় তিথিতে বাঙালির ঘরে ঘরে ভাইফোঁটা অনুষ্ঠিত হয়। মন্ত্র উচ্চারণ করে ভাইদের মঙ্গল কামনা করে কপালে ফোঁটা এঁকে দেন বোনেরা। কিন্তু কেন শুধুমাত্র এই তিনটি জিনিসেরই ফোঁটা দেওয়ার নিয়ম রয়েছে? শুধুই কি নিয়ম নাকি অন্য কোনও কারণ রয়েছে এর পেছনে?
(আরও পড়ুন: দক্ষিণেশ্বরের মহাভোগে এবার কী কী পদ থাকছে? মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া আর কে কে অতিথি)
ভাইফোঁটায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চন্দনের ফোঁটাই দেওয়া হয় ভাইদের কপালে। চন্দনে রয়েছে একাধিক গুন। চন্দন যেমন মাথা ঠাণ্ডা রাখে তেমন একাগ্রতা বাড়ায় এবং মন শান্ত করে। চন্দনের এই একাধিক গুনের কারণে শুধুমাত্র ভাইফোঁটায় নয়, বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও চন্দনের টিপ পরতে দেখা যায় ভক্তদের।
চন্দন ছাড়াও দইয়ের ফোঁটা দেওয়ার নিয়ম রয়েছে অনেক বাড়িতে। তবে শুধু ভাইফোঁটা নয়, পরীক্ষায় যাওয়ার আগেও সন্তানের মঙ্গল কামনার্থে মায়েরা দইয়ের ফোঁটা দিয়ে থাকেন সন্তানের কপালে। চন্দনের মতো দইয়ের মধ্যেও রয়েছে বহুগুণ তাই চন্দন ছাড়া দইকেও বেছে নেওয়া হয় যে কোনও শুভ কাজে।
(আরও পড়ুন: নিরামিষ নয়, বোয়াল মাছের ভোগ দেওয়া হয় পাহাড়ে পূজিতা এই মাকে)
চন্দন এবং দই ছাড়া অনেক বাড়িতে কাজলের ফোঁটা দেওয়ারও রীতি রয়েছে। কাজল মূলত নজর কাটানোর জন্য ব্যবহার করা হয়। ছোট শিশু থেকে বড়, সকলকেই কুনজর থেকে রক্ষা করার জন্যই কাজলের ফোটা দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, এই বছর ভাতৃদ্বিতীয়া অনুষ্ঠিত হবে ৩ নভেম্বর অর্থাৎ ১৭ কার্তিক। দ্বিতীয়া শুরু হবে ২ নভেম্বর অর্থাৎ ১৬ কার্তিক ৬টা ৫৩ মিনিট থেকে, দ্বিতীয়া শেষ হবে ৩ নভেম্বর অর্থাৎ ১৭ কার্তিক সকাল ৮টা ১৫ পর্যন্ত।