ভাইফোঁটায় দাদা বা ভাইয়ের জন্য মনের মতো করে রান্না করতে চান বোন বা দিদিরা। কিন্তু সেই দাদা বা ভাই যদি বয়স্ক হয় অথবা শারীরিক কোনও অসুস্থতা যদি তাঁদের থাকে, তাহলে কিন্তু মেনু বাছাই করতে ভীষণ অসুবিধা হয়ে যায়। ভাইফোঁটার দিন ডায়াবেটিক দাদাকে কী রান্না করে দেবেন যদি বুঝতে না পারেন তাহলে একনজর দেখে নিন এই প্রতিবেদন।
ভাইফোঁটা মানেই মিষ্টি। কিন্তু আপনার দাদা বা ভাই যদি মধুমেয় রোগে আক্রান্ত হন, তাহলে তো কোনও ভাবেই দেওয়া যাবে না মিষ্টি। অনেকেই সুগার ফ্রি মিষ্টি দিতে চান দাদা বা ভাইকে কিন্তু আপনার প্রিয়জনের ডাইবিটিস যদি নিয়ন্ত্রণে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি দিতে পারেন অল্প গুড়ের মিষ্টি। এতে কোনও সমস্যা হয় না।
(আরও পড়ুন: ভাইফোঁটা ২০২৪-এ অটুট থাকুক এই বন্ধন, প্রিয় ভাইকে পাঠান শুভেচ্ছাবার্তা)
দাদার সুস্থতার কথা মাথায় রেখে অবশ্যই পাতে বেশি ভাজাভুজি রাখবেন না। চাটনি অথবা পায়েস রাখার চেষ্টা করবেন না। পাতে অবশ্যই রাখবেন স্যালাড। রান্নায় বেশি চিনি ব্যবহার করবেন না। খাবার আগেই দিতে পারেন শরবত, তাতে খাবার ভালো হজম হয়ে যাবে এবং সুস্থতাও বজায় থাকবে।
দুপুরে খাবার মেনুতে রাখতে পারেন তন্দুরি পমফ্রেট
ভাতের পরিমাণ অবশ্যই কম রাখবেন। পরিবেশন করতে পারেন সবজি দিয়ে মুগ মোহন ডাল, দই ভেটকি, চিংড়ি মাছের ভাপা, পাবদা মাছ। এগুলির মধ্যে যেটি আপনার দাদার বেশি পছন্দের, সেই মাছটি রাখতে পারেন মেনুতে।
(আরও পড়ুন: বাড়িতেই বানাতে পারেন এই মিষ্টিগুলি, ভাইফোঁটার আগে রইল খুব সহজ রেসিপি)
দাদা বা ভাই যদি মাংস প্রেমিক হন, তাহলে অবশ্যই মুরগির মাংসের কোনও পদ তৈরি করে দিতে পারেন। তবে পাঁঠার মাংস দিলেও তা বেশি দেবেন না। পাঁঠার মাংস যেমন হজমের সমস্যা তৈরি করে তেমন শারীরিক অসুস্থতারও কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
শেষ পাতে দিতে পারেন ছানার পায়েস। পায়েস তৈরি করার জন্য অল্প গুড় ব্যবহার করবেন তবে চিনি একেবারেই ব্যবহার করবেন না। চেষ্টা করবেন মেনুতে চাটনি বা পাঁপড় না রাখার। ভারী খাবারের সঙ্গে পাঁপড় খেলে হজম হতে সমস্যা হয়।