সম্প্রতি সুন্দরবনের নদীখাড়িতে ধরা পড়ল বেশ কয়েকটি ভোলা মাছ। সেগুলির দাম পৌঁছে গেল ১৩ লক্ষ টাকার উপরে। এর কারণটিও বেশ অদ্ভুত।
সম্প্রতি এলাকার মৎস্যজীবীদের জালে ১০৯টি বিরাট মাপের ভোলা মাছ ধরা পড়ে। সেগুলিকে বিক্রির জন্য ক্যানিং বাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। এক একটি মাছের ওজন ১৪ থেকে ১৬ কিলোগ্রাম বলে জানা গিয়েছে। প্রতি কিলোগ্রাম ৯০০ টাকা দরে মোট প্রায় ১৫ কুইন্ট্যাল ভোলা মাছ বিক্রি হয়। তাতে দাম পৌঁছে যায় ১৩ লক্ষ টাকার উপরে।
এপ্রিল মাসের ১৪ তারিখ থেকে জুন মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত সুন্দরবনের নদীতে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা থাকে। ট্রলার ও মাছ ধরার নৌকা বন্ধ রাখার কথা। এটি ইলিশ মাছের প্রজননের সময়। এই সময় নদীতে মাছ ধরলে ইলিশের প্রজনন নষ্ট হয়। তার মধ্যেও অনটনের কারণে গোপনে কিছু মৎস্যজীবী মাছ ধরতে যান। তাঁদের জালেই ধরা পড়েছে এই ভোলা মাছগুলি।
কিন্তু কেন এই মারাত্মক দাম উঠেছে?
জানা গিয়েছে, খাড়ির এই মাছ সাধারণত ওষুধ তৈরির কাজে ব্যবহার করা হয়। তাই এর দাম অন্য ভোলার চেয়ে অনেক গুণ বেশি। তাছাড়া এই মাছের পটকা থেকে মানুষের শরীরের সেলাই করার সুতো তৈরি হয়। ক্যাপসুলের খাপ তৈরিতেও কাজে লাগে এই পটকা। তাই আর পাঁচটা ভোলার চেয়ে এর দাম এত বেশি।