২০২২ সালে কালীপুজোর তিথি ঘিরে বেশ কয়েকটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। ২৭ বছর পর কালীপুজোর পরদিন পড়ছে সূর্যগ্রহণ। এদিকে, ত্রয়োদশী তিথি দিই দিন ব্যাপী হওয়ায় ধনতেরাস দুই দিন সন্ধ্যেবেলায় পালিত হচ্ছে। অন্যদিকে, ভূত চতুর্দশী ২৩ অক্টোবর নাকি ২৪ অক্টোবর তা নিয়ে রয়েছে সংশয়। দেখে নেওয়া যাক শাস্ত্রমতে এর ব্যাখ্যা ও সঠিক তারিখ।
ভূত চতুর্দশীর তিথি
ভূত চতুর্দশী তিথি ২৩ অক্টোবর সন্ধ্যে ৬ টা ০৪ মিনিটে শুরু হবে। আর তা শেষ হবে ২৪ অক্টোবর বিকেল ৫ টা ২৮ মিনিটে। উদয় তিথি অনুসারে নরক চতুর্দশী বা ভূত চতুর্দশী পালিত হবে ২৪ অক্টোবরই।
ভূত চতুর্দশীতে প্রদীপ কখন জ্বালাবেন আর শাক খাবেন কখন?
উল্লেখ্য, ভূত চতুর্দশীতে বাংলার ঘরে ঘরে ১৪ প্রদীপ ও ১৪ শাক খাওয়ার রীতি রয়েছে। এদিকে ২০২২ সালের তিথি অনুযায়ী ২৩ অক্টোবর দুপুরে ১৪ শাক না খেয়ে তা খেতে হবে ২৪ অক্টোবর। প্রচলিত রীতি মেনে শাক ধোয়া জল সারা বাড়িতে ছড়িয়ে দিয়ে অশুভ শক্তিকে তাড়ানো হয়। তবে এই বছরের তিথি অনুসারে ২৩ অক্টোবর চোদ্দ প্রদীপ জ্বালানোর কথা বলা হচ্ছে। কারণ সন্ধ্যে ৬.০৪ মিনিটের পর থেকে চতুর্দশী তিথি পড়ে যাচ্ছে।
নরক চতুর্দশীর পৌরানিক কাহিনি
কথিত রয়েছে, নরকাসুর নামে এক অসুর নিজ শক্তি বলে দেবী দেবতাদের উত্যক্ত করছিল। তখন ঋষি মুনি দেবতার সকলেই দ্বারস্থ হন শ্রীকৃষ্ণের। তখন শ্রীকৃষ্ণ তাঁদের নরকাসুর থেকে মুক্ত করার আশ্বাস দেন। দেববাণী ছিল যে, নরকাসুর কোনও স্ত্রীর হাতে মৃত হবে। ফলে নিজের স্ত্রী সত্যভামাকে সঙ্গে নিয়ে শ্রীকৃষ্ণ নরকাসুরকে হত্যা করতে উদ্যত হন , আর তাতে সফল হন। যে দিনে নরকাসুর বধ হয় তা কার্তিকের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী।
কেন পালিত হয় চোদ্দ প্রদীপের রীতি?
উল্লেখ্য, চোদ্দ প্রদীপ দিয়ে ভূত চতুর্দশীর রাতে ১৪ পূর্ব পুরুষকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এছাড়াও মনে করা হয়, এই দিনে অশুভ প্রেতাত্মারা চারিদিকে ঘোরাফেরা করে। ফলে সেই অশুভ শক্তিকে মেটাতেই এমন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।