দেশের নানা প্রান্তে মকর সংক্রান্তির দিন নানা উৎসব পালন করা হয়। বাঙালিরা যেমন এ দিন পালন করেন পৌষ পার্বণ, তেমনই পঞ্জাবের মানুষ পালন করেন মাঘি বা লোরি।ঠিক তেমনই অসমের মানুষের কাছে এই দিনটি গুরুত্বপূর্ণ, তার কারণ এদিন তাঁরা বিহু উৎসব পালন করেন।
কোভিডের কারণে গত দু’বছরে এই উৎসবের জাঁকজমক কিছুটা কম। কিন্তু মানুষের মন থেকে উৎসব কেড়ে নেওয়া যায় না। তাই অসমের মানুষের কাছে এই দিনটি এই বছরেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কী এই বিহু?
অন্য প্রদেশের মতোই অসমেও এটি শস্যোৎসব। নতুন ফসল গোলায় তোলার দিন। তাছাড়া দিনটির সঙ্গে রয়েছে রাজ্যটির সংস্কৃতির সম্পর্কও। মনে করা হয়, বিহু শব্দটি এসেছে বিশু থেকে। বিশুর অর্থ শান্তির ডাক। ফসলের উৎসব তো বটেই, এ দিন মেজি বা আগুন জ্বালিয়েও উদ্যাপন করা হয়।
কী হয় এ দিন?
আগের রাত থেকে তৈরি হয় খড়ের ছোট ছোট বাড়ি। সেগুলি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। একেই বলা হয় মেজি। পরের দিন পালন করা হয় বিহু। নাচ-গানের অনুষ্ঠান তো আছেই, তার সঙ্গে চলে খাওয়াদাওয়া।
বিশেষ খাবার:
বিহুর প্রধান আকর্ষণ হল পিঠে। চাল গুঁড়ো দিয়েইপিঠে বানানো হয় অসমে। দেওয়া হয় নারকেল। গুড়ের সঙ্গে খাওয়া হয় এটি। চালের পিঠে ছাড়াও সুঙ্গা পিঠে, লাউ পিঠে, তেকেলি পিঠে খাওয়ার রেওয়াজ আছে বিহুতে। এর পাশাপাশি লারু, সান্দো গুরির মতো খাবারগুলি খাওয়া হয় এই উৎসবে। সব মিলিয়ে উৎসবের কেন্দ্রে থাকে খাওয়াদাওয়াই।