কোভিড নিয়ে এখনও অনেক রহস্য থেকে গিয়েছে। কিন্তু কোথা থেকে কোভিড ছড়িয়েছে, সে সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া গিয়েছে এত দিনে। যদিও এই ধরণায় পৌঁছোনোর আগে নানা ধরনের তত্ত্ব এবং ষড়যন্ত্রের কথা ছড়িয়ে পড়েছিল সর্বত্র। কেউ কেউ যেমন বলতেন, কোনও দেশ খুব সচেতনভাবে ছড়িয়ে দিয়েছিল এই ভাইরাস, কারও আবার মত ছিল, এর পিছনে রয়েছে ব্যক্তি বিশেষের ভূমিকা। যে ক’টি কনসপিরেসি থিয়োরি বা ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব সেই সময়ে বাজারে সবচেয়ে বেশি করে ছড়িয়ে পড়ে, তার মধ্যে একটি অবশ্যই ছিল বিল গেটসকে নিয়ে। তিনিই নাকি সচেতনভাবে ছড়িয়ে দেন করোনাভাইরাস! কিন্তু কেন?
হালে এই যড়যন্ত্র তত্ত্বের বিষয়টি নিয়ে জবাব দিয়েছেন বিল গেটস। বলেছেন, এই যড়যন্ত্র তত্ত্বের বিষয়ে তিনি ভালোই অবগত। ইংল্যান্ডের এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘সেই সময়ে লক্ষ লক্ষ মেসেজ আসত ফোনে। অভিযোগ করা হত, আমি নাকি এই করোনাভাইরাসের অতিমারির পিছনে রয়েছি।’
মাইক্রোসফ্টের নির্মাতার বক্তব্য, সেই সময়ে মানুষ গোটা ঘটনাটির একটি ব্যাখ্যার কাছে পৌঁছোতে চাইছিলেন। তাঁরা চাইছিলেন, এমন একজন খলনায়কের সন্ধান করতে, যে এর পিছনে রয়েছে। তাই কখনও উঠে এসেছে বিল গেটসের নাম, কখনও আবার অ্যান্তনি ফাউচির নাম। কিন্তু এত লোক থাকতে বিল গেটসই কেন? এর পিছনে রয়েছে একটি কাহিনি। সে কথাও গেটস নিজেই বলেছেন।
২০১৫ সালে গেটস এক সাক্ষাৎকারে বলেন, এক ভয়ঙ্কর অতিমারি আসতে চলেছে। সেই অসুখে পৃথিবীর প্রায় ১ কোটি মানুষের মৃত্যু হবে। এই সাক্ষাৎকারের সূত্রেই মানুষের মনে সন্দেহ তৈরি হয়, গেটস আগে থেকেই করোনাভাইরাস সংক্রমণের কথা জানতেন। কারণ তিনিই হয়তো এর পিছনে রয়েছেন।
কিন্তু হঠাৎ এমন এক ভাইরাস ছড়াতে যাবেনই বা কেন তিনি? ষড়যন্ত্র তত্ত্বে তারও উত্তর আছে। এই মতে যাঁরা বিশ্বাস করেন, তাঁদের দাবি, গেটস অতিমারির মাধ্যমে পৃথিবীতে মানুষের সংখ্যা কমাতে চান। শুধু সংক্রমণে মানুষের মৃত্যুর মাধ্যমে নয়, করোনার এমন টিকাই নাকি গেটস নিয়ে আসতে চলেছেন, যা মানুষের প্রজননের ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে। আর তার মাধ্যমেই তিনি নাকি জনসংখ্যা কমাবেন— এমনই ষড়যন্ত্র করেছিলেন।
তবে সে সবই এখন অতীত। আপাতত এই সব তত্ত্বের কথা শুনে তিনি মজাই পান। এমনই জানিয়েছেন গেটস।