মুম্বই মানেই, কোটি কোটি খরচে এক টুকরো ছাদ। সাধারণ ওয়ান কামরার ফ্ল্যাট কিনতে গেলেও পকেটে পড়ে দেদার চাপ। আবার ভালো জায়গায় সেরা অ্যাপার্টমেন্ট, কিনতে চাইলে তো কথাই নেই। পকেটে পড়তে পারে বাজ। তবে, ধনকুবেরদের জন্য তা নিতান্তই সাধারণ।
মুম্বইয়ের একটি পশ এলাকা ওরলিতে ৪৭ তম তলায় অবস্থিত একটি ফ্ল্যাট ৯৭.৪ কোটি টাকায় বিক্রি হয়েছে। ওয়ারলিকে মুম্বইয়ের সবচেয়ে ব্যয়বহুল এলাকা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই ফ্ল্যাটটি ওবেরয় ৩৬০ ওয়েস্ট প্রজেক্টের ৪৭ তম তলায় রয়েছে। এর আয়তন ১৪,৯১১ বর্গফুট। এটির অতিরিক্ত ৮৮৪ বর্গফুট জায়গা রয়েছে, যা প্রসারিত করা যেতে পারে। নথি অনুযায়ী, এই ফ্ল্যাটটি বিক্রি করেছে ওসিস রিয়েলটি পার্টনার স্কাইলার্ক বিল্ডকন প্রাইভেট লিমিটেড। এই ফ্ল্যাটের সঙ্গে নয়টি গাড়ি পার্কিং স্লটও রয়েছে। এটির বিক্রয় দলিল ২৯ এপ্রিল স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এই লেনদেনে ৫.৮ কোটি টাকার স্ট্যাম্প ডিউটিও প্রদান করতে হয়েছে।
- কে কিনেছেন এই বিলাসবহুল ফ্ল্যাট
মুম্বইয়ের এই প্রজেক্টে চার ও পাঁচ বেডরুমের ফ্ল্যাট রয়েছে। প্রজেক্টটির দুটি টাওয়ার রয়েছে, যার একটিতে রিটজ-কার্লটন হোটেল এবং অন্যটিতে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট রয়েছে। এই প্রজেক্টটি আরব সাগরের ঠিক সামনে। এর উচ্চতা ৩৬০ মিটার এবং এর সমস্ত অ্যাপার্টমেন্ট পশ্চিমমুখী। এ কারণে এর নামকরণ করা হয়েছে ৩৬০ ওয়েস্ট। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ফ্ল্যাটটি কিনেছেন হীরা কোম্পানি কিরণ জেমসের প্রবর্তক মাভজিভাই শামজিভাই প্যাটেল।
বলা বাহুল্য, দেশে এখন বিলাসবহুল ফ্ল্যাট বিক্রিতে অনেক প্রবৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে। সম্পত্তি পরামর্শদাতা সংস্থা এনরকের প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুসারে, গত পাঁচ বছরে ভারতে বিলাসবহুল এবং প্রিমিয়াম বাড়ির চাহিদাতে একটি বড় উন্নতি ঘটেছে। ২০১৯ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে বিক্রি হওয়া বাড়ির মধ্যে বিলাসবহুল বাড়ির সংখ্যা ছিল মাত্র সাত শতাংশ, এটি ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে ২১ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। বর্তমানে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট প্রজেক্টের পরিধি শুধু মুম্বই বা দিল্লিতেই নয়, নয়ডা, গাজিয়াবাদ এবং ফরিদাবাদের মতো শহরেও পৌঁছেছে।
- বাড়ি বিক্রির হার কমেছে
এনরকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একদিকে যেমন বিলাসবহুল বাড়ির চাহিদা ও বিক্রি বাড়ছে, অন্যদিকে সাশ্রয়ী বা বাজেট সেগমেন্টে বাড়ি বিক্রির হার কমছে। এই বছরের প্রথম ত্রৈমাসিক অর্থাৎ ২০২৪ সালের হিসাবে, এই বিভাগে মাত্র ২৬,৫৪৫ ইউনিট বিক্রি হয়েছিল। পাঁচ বছরের তুলনায় এটি ২০ শতাংশের বড় পতন। ২০১৯ সালে, বিক্রি হওয়া সমস্ত বাড়িতে বাজেট সেগমেন্টের বাড়ির ছিল ৩৭ শতাংশ। জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত দেশের সাতটি বড় শহরে মোট ১ লাখ ৩০ হাজার বাড়ি বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে ২৭,০৭০ ইউনিট বা ২১ শতাংশ ছিল বিলাসবহুল বাড়ি।