আট মাসের বাচ্চার মৃত্যুতে এমনিতেই শোকস্তব্ধ ছিল পরিবার। হঠাৎ এমন একটা ঘটনা ঘটল, যা পরিবারের মনে একটু হলেও আশার আলো জাগিয়েছিল, কিন্তু শেষমেশ পরিণতিটা অন্যতম।
ব্রাজিলের ঘটনা এটি। জানা গিয়েছে, আট মাস বয়সী এক শিশুকন্যার শেষকৃত্যের সময় হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটেছে। নাম, কিয়ারা ক্রিসলেইন ডি মউরা ডস সান্তোস। শেষকৃত্যের ঠিক আগে কফিনেই হঠাৎ নড়ে উঠেছিল সে। পরিবারের সদস্যরা কফিনের কাছে গেলে, তাঁরাই বাচ্চা মেয়েটিকে নড়াচড়া করতে দেখতে পান। পরিবারের এক সদস্যের আঙুলও চেপে ধরে সে।
তখনই পরিবার মনে করেছিল যে হয়ত তাঁদের আদরের বাচ্চাটি দেহে প্রাণ ফিরে পেয়েছে। অবিলম্বে পরিবার বাচ্চা মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তও নেয়। কিন্তু পরিবার যখন হাসপাতালে পৌঁছোয়, তখন তাঁদের আশায় জল ঢেলে দেন ডাক্তাররাই।
আরও পড়ুন: (Viral Video: লাল পিঁপড়ে দিয়ে সাজানো হলো ফুচকা, ভিডিয়ো দেখে রেগে গেলেন নেটিজেন)
ঠিক কী ঘটেছিল তা জানাতে গিয়ে, মেয়েটির বাবা বলেন যে তাঁর পরিবার তখন ইতিমধ্যেই বিচলিত ছিল। আচমকা একটু আশার আলো দেখলেও তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। দুঃখ আবার আঘাত করেছিল। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা বাচ্চাটিকে আবার মৃত ঘোষণা করেন। আসলে ভাইরাল সংক্রমণের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল বাচ্চাটি। হাসপাতালে তড়িঘড়ি ভর্তি করা হয় তাকে। চিকিৎসকরা দাবি করেন যে বাচ্চাটি শ্বাস নিচ্ছে না এবং তার হৃদস্পন্দনও নেই।
শেষকৃত্যের ঘটনার পর, মেয়েটিকে আবার হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসকরা বাচ্চাটির প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করলেও, ২৪ ঘণ্টা পর আবারও তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এ ঘটনায় শুধু পরিবারই নয়, স্থানীয় লোকজনও হতবাক হয়ে গিয়েছেন। প্রশ্ন উঠেছে, কেউ মারা গিয়ে কীভাবে আবার বেঁচে উঠতে পারে, নিশ্চয়ই চিকিৎসকদের গাফিলতির জন্যই এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে।
আরও পড়ুন: (হ্যালোইন কবে? কেন এটি উদযাপন করা হয়? এর ইতিহাস এবং তাৎপর্য জেনে নিন)
এমনই প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে, স্থানীয় পৌর কর্পোরেশন এবং হাসপাতাল পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়েছে। ব্রাজিলের সায়েন্টিফিক পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। প্রথমবার, হাসপাতাল বাচ্চা মেয়েটিকে মৃত ঘোষণা করার ক্ষেত্রে নিজেদের ভুল স্বীকার করেছে। পৌর কর্পোরেশনও পরিবারকে আশ্বাস দিয়ে বলেছে যে তারা ৩০ দিনের মধ্যেই পুরো তদন্ত শেষ করবে।