বড়লোক স্বামী, সুন্দরী স্ত্রী। সম্পর্কে চারপাশে দেওয়া কড়া নিয়মের ব্যারিকেড। সে নিয়ম এতটাই কড়া, যে আজকের দিনে তা কল্পনার বাইরে। যদিও স্বামীর এমন নিয়মে হতাশ নন স্ত্রী। সবটা ভিডিয়ো শেয়ার করে নিজেই জানালেন ইনস্টাগ্রামে। যা দেখে হৈচৈ পড়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
দুবাইয়ের পাওয়ার কাপল তাঁরা। দুবাইয়ের বড় বিজনেসম্যান তাঁর স্বামী। খুব ধনী। বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন। আর যে মহিলা ইনস্টাগ্রামে তাঁর এই ধনী জীবনের গল্প শেয়ার করেছেন। তাঁর নাম সৌদি আল নাদাক। সৌদি আসলে সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েনসার। তিনি সবসময় সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর বিলাসবহুল জীবনযাপনের ছবি এবং ভিডিয়ো শেয়ার করেন। ২৬ বছর বয়সী সৌদির কোটিপতি স্বামীই কড়া নিয়মকানুন বেঁধে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: (Veg Chocolate Cake Recipe: বাসি ভাত দিয়েতৈরি করুন মজাদার ভেজ চকোলেট কেক, ওভেনও জ্বালাতে লাগবে না)
কী কী নিয়ম রয়েছে স্ত্রীয়ের জন্য
ইনস্টাগ্রামে ভিডিয়ো শেয়ার করে সৌদি বলেন, আমার স্বামী আমার জন্য কঠোর নিয়ম তৈরি করেছেন। আমি তাঁর রাজকন্যা। আপনি আমাকে সৌদিরেলা বলতে পারেন। সৌদি এদিন বলেছেন যে তাঁর স্বামী সবসময় জুতোর রঙের সঙ্গে ব্যাগ মিলিয়ে ব্যবহার করতে পছন্দ করেন। বিপরীত লিঙ্গের ব্যক্তি অর্থাৎ পুরুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব করার অনুমতি নেই। দু' জনেই একে অপরের পাসওয়ার্ড জানেন।
কাজ করার অনুমতি নেই
এমনকি মহিলাকে কাজ করতেও দেননি তাঁর স্বামী। সৌদি এর কারণ দেখিয়ে বলেন যে তাঁর সব খরচ বহন করেন তাঁর স্বামী। সৌদি বাড়িতে খাবারও রান্না করেন না। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই বাইরে খান। স্বামী আবার এটাও আশা করেন যে স্ত্রী প্রতিদিন মেক-আপ করবেন এবং সেজেগুজে থাকবেন।
ভাইরাল ভিডিয়ো দেখুন এখানে
ভিডিয়োটিতে এখনও পর্যন্ত লক্ষ লক্ষ মানুষ তাঁদের মতামত দিয়েছেন। কিন্তু তাঁর এই তথ্যে অবাকও হয়েছেন অনেক ব্যবহারকারী।
আরও পড়ুন: (Parenting Tips: ৭ থেকে ১২ মাসের শিশুকে এই খাবারগুলি খাওয়ান, ওর বৃদ্ধির জন্য এগুলোসবচেয়ে ভালো)
প্রসঙ্গত, সৌদির সঙ্গে আট বছর আগে দেখা হয় তাঁর স্বামী জামাল আল নাদাকের। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় এই সাক্ষাৎ হয়। তারপর, তিন বছর আগে দু' জনে বিয়ে করেন। দুবাইয়ের এই মহিলা প্রায়ই তাঁর ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন। তাঁর চমৎকার জীবনধারা নিয়েও আলোচনা হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। স্বামীর সঙ্গে বিশ্বের সেরা জায়গাগুলিতে বেড়াতে যান। সেইসব জায়গার মুহূর্তও শেয়ারও করেন। প্রায়শই কেনাকাটা এবং বিলাসবহুল গাড়ি সহ নিজের বিপুল সম্পদ দেখান সোশ্যালে। এই বিষয়টাই এখন আর ভালো লাগছে না নেটিজেনদের।।এ কারণে প্রায়ই ট্রোলিংয়ের শিকার হন সৌদি।