পরিবারের সঙ্গে স্মরণীয় সময় কাটানোর জন্য মানুষ চিড়িয়াখানায় যায়। চিড়িয়াখানায়, প্রাণীদের বিশেষ যত্ন নেওয়া হয় এবং সন্তানের মত ভালোবেসে তাদের লালনপালন করা হয়। তবে, বিশ্বের এমনও কিছু চিড়িয়াখানা রয়েছে, যারা নিজেদের সুবিধার জন্য প্রাণীদেরই ব্যবহার করে। চিনেই রয়েছে এমনই একটি চিড়িয়াখানা। এই চিড়িয়ানায় নাকি যেখানে বাঘের প্রস্রাবই বোতলে ভরে বিক্রি করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: (Brain Fog: বেশিক্ষণ মন বসে না কাজে, মাথার ভিতর কুয়াশা জমছে? ব্রেন ফগ নিয়ে আলোচনায় স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক)
কেন বিক্রি করা হচ্ছে বাঘের প্রস্রাব
এই চিড়িয়াখানাটি সিচুয়ান প্রদেশে অবস্থিত। নাম 'ইয়ান বাইফেংজিয়া বন্যপ্রাণী চিড়িয়াখানা'। এই চিড়িয়াখানা দাবি করে যে বাঘের প্রস্রাবের মাধ্যমে বাতের চিকিৎসা করা যেতে পারে। বাত নিরাময় করা যেতে পারে। এমন সময় একজন ভ্রমণকারী সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানিয়েছেন যে এখানে সাইবেরিয়ান বাঘের প্রস্রাব বিক্রি হয়, যার নাম দেওয়া হয়েছে 'মেডিসিনাল টাইগার ইউরিন'। আর ২৫০ মিলি বোতলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৯৬ টাকা।
বাঘের প্রস্রাব এই উপায়ে ব্যবহার করা যেতে পারে
প্রস্রাবের বোতলের লেবেলে লেখা আছে যে বাঘের প্রস্রাব মচকানো এবং পেশী ব্যথার মতো অবস্থার উপর ভালো থেরাপিউটিক প্রভাব ফেলে।
সাদা ওয়াইনের সঙ্গে প্রস্রাব মিশিয়ে এক টুকরো আদার সাহায্যে আক্রান্ত স্থানে লাগানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। জেনে অবাক হবেন যে এই পণ্যটি অনেকে পান করতেও দুইবার ভাবছেন না। তবে, এটি ব্যবহার করার পর শরীরে কোনও অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে এটি ব্যবহার বন্ধ করার জন্যও সতর্ক করে দিয়েছে চিড়িয়াখানাটি।
আরও পড়ুন: (Rose Day 2025 Wish: আজ থেকে শুরু ভ্যালেন্টাইনস সপ্তাহ, আজ গোলাপ দিবস! প্রিয় মানুষটিকে জানান শুভেচ্ছা)
বাঘের প্রস্রাব কীভাবে সংগ্রহ করা হয়
এই চিড়িয়াখানায় কর্মরত একজন কর্মচারী জানিয়েছেন যে বাঘগুলি একটি বেসিনে প্রস্রাব করে, তারপরে তা সংগ্রহ করা হয়। তবে, বিক্রির আগে প্রস্রাব জীবাণুমুক্ত করা হয় কিনা সে সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। চিড়িয়াখানার কর্মচারী বলেন যে প্রতিদিন এই পণ্যের ২ বোতল অন্তত বিক্রি হচ্ছে।
বাঘের প্রস্রাব কি পান করা নিরাপদ
চিনের হুবেই প্রদেশের একজন ফার্মাসিস্ট বলেছেন যে বাঘের মূত্র কোনও ঐতিহ্যবাহী ওষুধ নয়। এর কোনও প্রমাণিত ঔষধি গুণও নেই। তাই এটি ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছেন ওই ফার্মাসিস্ট। তিনি বলেন যে এটি খেলে বা ব্যবহার করলে সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে। যদিও, চিড়িয়াখানা আবার দাবি করেছে যে তাদের কাছে বাঘের প্রস্রাব বিক্রির ব্যবসায়িক লাইসেন্সও রয়েছে। কিন্তু এই লাইসেন্সটি তাদের ওষুধ হিসাবে প্রস্রাব বিক্রির অনুমতি দেয় কিনা তা স্পষ্ট নয়।
বলা বাহুল্য, খবরটি ভাইরাল হওয়ার পর অনেকেই তাই বলছেন যে এটি পান করা বা ব্যবহার করা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। এই অদ্ভুত পণ্যটি দর্শক এবং অনলাইন ব্যবহারকারীদের মধ্যে উদ্বেগও সৃষ্টি করেছে। একজন ব্যক্তি বলেছিলেন, আমি কৌতূহল থেকে আমার বাবার জন্য কিনেছিলাম, কিন্তু এটি কাজ করেনি। অন্য একজন মন্তব্য করেছেন, প্রস্রাব থেকে কি জীবাণু ছড়ানোর সম্ভাবনা নেই?