বাংলা নিউজ > টুকিটাকি > Autism: বিজ্ঞানীদের নতুন আবিষ্কার খোঁজ দিতে পারে অটিজমের চিকিৎসার

Autism: বিজ্ঞানীদের নতুন আবিষ্কার খোঁজ দিতে পারে অটিজমের চিকিৎসার

অটিজমের চিকিৎসায় নতুন দিশা

Autism: অটিজমের সমস্যা নিয়ে বারো বছর ধরে এই গবেষণা হয়। আণবিক স্তরে পাওয়া গিয়েছে ফলাফল। খোঁজ মিলতে পারে অটিজমের নির্দিষ্ট চিকিৎসার।

অটিজমের সমস্যায় মূলত একজনের সামাজিক ব্যবহার ও কথা বলার সমস্যা দেখা দেয়। এতদিন বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা ছিল, এই সমস্যাগুলো মস্তিষ্কের কয়েকটি নির্দিষ্ট অংশের অস্বাভাবিক কার্যকলাপের জন্য দেখা দেয়। তবে, সাম্প্রতিককালের একটি গবেষণা এই ধারণা নস্যাৎ করে দিয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে চলা এই গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মস্তিষ্কের প্রায় সম্পূর্ণ সেরিব্রাল কর্টেক্স জুড়েই ছড়িয়ে আছে এই সমস্যার কারণ। সেরিব্রাল কর্টেক্সের আণবিক স্তরে গবেষণা করে পাওয়া গিয়েছে এমন তথ্য।

সম্প্রতি বিজ্ঞানের পত্রিকা নেচারে প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণা। অ্যালঝাইমার্স বা পারকিনসন রোগের মতো নিউরোলজিক্যাল সমস্যার কিছু নির্দিষ্ট প্যাথোলজি আছে। কিন্তু অটিজম স্প্রেক্ট্রাম ডিসঅর্ডার (এএসডি)-এর উপসর্গের মূল কারণ ছিল অজানা। ফলে এর কোনও নির্দিষ্ট প্যাথোলজিও নেই। এই কারণে কার্যকরী চিকিৎসাও অধরা।

অটিজমের সঙ্গে সম্পর্কিত উপসর্গগুলো হল কার্যকারণ বুঝতে সমস্যা, ভাষার সমস্যা, সামাজিক মেলামেশায় অসুবিধার সম্মুখীন হওয়া, পরিস্থিতি অনুযায়ী মানসিক নমনীয়তা না-থাকা ইত্যাদি। সাম্প্রতিক পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, সেরিব্রাল কর্টেক্সের ১১ টি লোবই এই সমস্যার নানা উপসর্গের জন্য কোনও না কোনওভাবে দায়ী। প্রাথমিক সেনসরি অঞ্চলের ক্রিয়াকলাপের সমস্যার জন্যও এই অংশগুলো দায়ী।

ইউসিএলএ-এর হিউম্যান জেনেটিক্স, নিউরোলজি ও সাইকোলজির অধ্যাপক ড্যানিয়েল গেশউইন্ড জানাচ্ছেন, প্রায় একযুগের গবেষণার মাধ্যমে এই ফলাফলে পৌঁছানো গিয়েছে। আণবিক স্তরে গবেষণার ফলে এই সমস্যায় মস্তিষ্কের লোবগুলির গঠন কেমন হয় তা বোঝা গিয়েছে। অর্থাৎ এখন এএসডি-এর নির্দিষ্ট চিকিৎসা পদ্ধতির খোঁজ করা সম্ভব।

গেশউইন্ড একযুগ আগে এই গবেষণা শুরু করেছিলেন টেম্পোরাল লোব ও ফ্রন্টাল লোবের উপর। কগনিটিভ কার্যক্ষমতার সঙ্গে সবচেয়ে বেশি সম্পর্ক থাকায় মস্তিষ্কের এই অঞ্চলগুলো বেছে নেওয়া হয়।এই কগনিটিভ কার্যক্ষমতা বিভিন্ন সামাজিক কাজকর্মের সঙ্গে জড়িত। এএসডি-তে এই সামাজিক কাজকর্মগুলোই ব্যাহত হয়।

১১২ জন এএসডি আক্রান্ত মানুষের মস্তিষ্কের কোষ নিয়ে এই পরীক্ষা করা হয়। চারটি মূল কর্টিক্যাল লোবের এগারোটি কর্টিক্যাল অঞ্চলের আরএনএ সিকোয়েন্সিং করে এই পরীক্ষা চলে। স্বাভাবিক মস্তিষ্ক কোষের সঙ্গে এই কোষগুলোর তুলনা করে এই পরীক্ষা করা হয়।

পরীক্ষায় এএসডি আক্রন্তের প্রতি কর্টিক্যাল অঞ্চলের আরএনএ-তেই আলাদা সিকোয়েন্সিং দেখা গিয়েছে। সবচেয়ে বেশি আলাদা সিকোয়েন্সিং ভিস্যুয়াল ও পেরেনিয়াল কর্টেক্সের। স্পর্শ, ব্যথা ও তাপমাত্রার মতো অনুভূতি এই অঞ্চল দুটির সঙ্গেই জড়িত।

বিশেষজ্ঞদের কথায়, এই গবেষণার পরের ধাপে এই জিনগুলোর সিকোয়েন্সে বদল আনতে পারে এমন কোনও থেরাপি আবিষ্কারের চেষ্টা চলবে। এটি সম্ভব হলেই এএসডি-এর নির্দিষ্ট চিকিৎসার খোঁজ পাওয়া সম্ভব।

 

 

বন্ধ করুন