ভারত জুড়ে মহিলাদের মধ্যে দ্রুত হারে বাড়ছে ক্যানসার। আইসিএমআর-এর একটি রিপোর্ট মারফত এমন তথ্যই এবার প্রকাশ্যে এল। দেশ জুড়ে ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা আগামী বছরগুলোয় আরও বাড়বে, এমনটাই মত রিপোর্টের। সমীক্ষা অনুযায়ী জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে সারা দেশে ১.৪৬ মিলিয়ন মানুষ ক্যানসার আক্রান্ত হয়েছে। ২০২৫ সালে এই সংখ্যা বেড়ে ১.৫৭ মিলিয়ন হতে পারে। দেখা গিয়েছে, প্রতি এক লাখ পুরুষের মধ্যে ১০০.৪ জন ক্যানসার আক্রান্ত হন। অন্যদিকে এক লাখ মহিলাদের মধ্যে ১০৫.৪ আক্রান্ত হন এই মারণ রোগে। যদিও এই পরিসংখ্যান তৈরির সময় উত্তরপ্রদেশে ও বিহারকে বাদ রাখা হয়েছিল। দেশের মধ্যে এই দুটি রাজ্যেই সবচেয়ে জনবহুল। রাজ্য দুটির পরিসংখ্যান যুক্ত হলে মূল অঙ্ক অনেকটাই বড় হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
রিপোর্টের তথ্য অনুযায়ী, আক্রান্ত মহিলাদের একটি বড় অংশ স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত। চিকিৎসকদের মতে, যা সহজেই প্রতিরোধ করা যায়। অন্যদিকে ১০৫.৪ জনের মধ্যে ৯৫.৬ জন পুরুষেরই ফুসফুস ক্যানসার ধরা পড়েছে। পুরুষদের ক্যানসারের মধ্যে সংখ্যার নিরিখে এটিই সবচেয়ে বেশি।
আইসিএমআর-এর ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিসিস ইনফরমেটিক্স অ্যান্ড রিসার্চের তরফে এই সমীক্ষা করা হয়। ন্যাশনাল ক্যানসার রেজিস্ট্রি প্রোগ্ৰামের ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি রিপোর্ট থেকে স্তন ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা নির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি। তবে সংখ্যার নিরিখে সবচেয়ে উপরে স্তন ক্যানসার, এমনটাই জানাচ্ছেন গবেষকরা। স্তন ক্যানসারের পরেই রয়েছে সারভিক্স ও গর্ভাশয় ক্যানসার। বিজ্ঞানীদের মতে, ভারতে প্রতি নয় জনের মধ্যে একজনের ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, দেখা গিয়েছে. বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রেই ৭৪ বছর বয়সে মারণরোগটি ধরা পড়ে।
সারা বিশ্বের নিরিখে ভারতের অবস্থা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বিজ্ঞানীদের। গ্লোবাল ক্যানসার অবসারভেটরি (গ্লোবোক্যান)-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সারা বিশ্বে মোট ১৯.৩ মিলিয়ন মানুষ ক্যানসার আক্রান্ত। এর মধ্যে প্রথম তিনটি দেশ হল চিন, আমেরিকা ও ভারত। গ্লোবোক্যানের মতে, ২০৪০ সালের শেষে ভারতে ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা ২ মিলিয়ন পার করে যেতে পারে। প্রায় ৫৭ শতাংশ বৃদ্ধির এই আশঙ্কাই বর্তমানে বিজ্ঞানীদের চিন্তার কারণ।