স্তন ক্যানসার, শুধুমাত্র ৫০ বছরের বেশি বয়সী মহিলাদের মধ্যে সাধারণ, তা কিন্তু একেবারেই নয়। ২০ থেকে ৪৫ বছরের মহিলাদের উপরও এর প্রভাব পড়তে পারে। এই ধরনের ক্যানসারের সূত্রপাত তখনই হয়, যখন স্তন কোষগুলি অনিয়ন্ত্রিতভাবে বৃদ্ধি পায়, এটিই টিউমার তৈরি করে। সেজন্য স্তন ক্যানসার আগে থেকেই শনাক্ত করা জরুরি। আগে থেকেই এই ক্যানসারের লক্ষণ এবং উপসর্গ জেনে সচেতন হওয়া উচিত। এর দরুণ, সময়ের আগে চিকিৎসা করালে, অল্পবয়সী মহিলাদের বড় বিপদের সম্ভাবনা কম থাকবে।
আরও পড়ুন: (Uric Acid Remedies: ইউরিক অ্যাসিড কমে যাবে, এই নিয়মগুলি মেনে চলুন)
কোন ৪ লক্ষণ দেখলে অল্পবয়সী মেয়েদের সাবধান হওয়া জরুরি
এইচটি লাইফস্টাইলের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে, তালেগাঁওয়ের টিজিএইচ অনকো লাইফ ক্যান্সার সেন্টারের একজন ক্যানসার সার্জন ডাঃ মৃণাল পরব, ব্যাখ্যা করেছেন যে অল্পবয়সী মহিলাদের স্তন ক্যানসারের নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি সম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিত:
১. আচমকাই স্তনের আকারে পরিবর্তন
আপনি যদি আপনার স্তনের আকার বা আকারে উদ্বেগজনক পরিবর্তন লক্ষ্য করেন, দেখেন যে আচমকাই স্তনের আকার বেড়ে গিয়েছে, তাহলে অবিলম্বে সাবধান হয়ে যান। শুধু তাই নয়, ২০ থেকে ৪৫ বছর বয়সী মহিলারা স্তন হঠাৎই সঙ্কুচিত হওয়া বা অসম হয়ে যেতে দেখেন, তাহলেও হতে হবে সাবধান। চেক করার জন্য অবিলম্বে ডাক্তার দেখাতে হবে।
২. স্তনে পিণ্ড
স্তন বা আন্ডারআর্মে (বগলের তলায়) কোনও বড় বা ছোট পিণ্ড বা মোটা দাগ যদি থাকে, তাহলে এটা স্তন ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। তাই নিয়মিত আপনার স্তন নিজে পরীক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ এবং যদি আপনিও কোনও পিণ্ড খুঁজে পান তবে ডাক্তার দেখান।
৩. স্তন বা নিপলে পরিবর্তন
স্তনে লালচেভাব, বা নিপল যদি ভেতরের দিকে ঘুরে যায়, তাও স্তন ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। এছাড়াও, যদি স্তনবৃন্ত বা নিপল থেকে রক্তাক্ত স্রাব বের হয়, তবে এটিও একটি সতর্কতা চিহ্ন এবং উপেক্ষা করা উচিত নয়।
৪. স্তনে ব্যথা এবং কোমলতা
পিরিয়ড না হলেও, বা পিরিয়ড আসার কথা না থাকলেও, যদি আপনি যদি স্তনে ব্যথা অনুভব করেন বা স্তন বেশিই নরম লাগে, তাহলে অবশ্যই একজন ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ। এটি স্তন ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে।
আরও পড়ুন: (Health Tips: টুথব্রাশ রাখার কিছু নিয়ম আছে, সেগুলি না জানলেই বাড়বে বিপদ! জেনে নিন এখনই)
প্রসঙ্গত, ডাঃ মৃণাল পরব এদিন আরও বলেন, যদি উপরিউক্ত লক্ষণের মধ্যে একটিও দেখা যায়, তাহলে সেই মহিলাদের নিয়মিত তাঁদের স্তন চেক আপ করানো উচিত এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ম্যামোগ্রাম করা উচিত। কারণ তাড়াতাড়ি স্তন ক্যানসার শনাক্ত করা গুরুত্বপূর্ণ। সময়মতো রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা আরও ভাল ফলাফল এনে দিতে পারে। মনে রাখবেন, দ্রুত পদক্ষেপ নিলে জীবনও বাঁচতে পারে।