৮ অগস্ট না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০। তিনি মরণোত্তর দেহদান করে গিয়েছেন। তবে তিনি একাই নন। আরও একাধিক ভারতীয় ব্যক্তিত্ব এই কাজ করে গিয়েছেন। কারা তাঁরা?
আরও পড়ুন: 'ওকে বলেছিলাম হাত দেখে দিতে...' অপরাজিতা কবে নায়িকা হবেন ভবিষ্যদ্বাণী করেন বন্ধু টোটা! মিলেছিল সেই কথা?
কোন ভারতীয় ব্যক্তিত্বরা দেহদান করেছেন?
কেবল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য নন। আর আগে একাধিক ভারতীয় ব্যক্তিত্বরা তাঁদের দেহদান করে গিয়েছেন। বলাই বাহুল্য এঁদের মধ্যে অধিকাংশই হলেন কমিউনিস্ট নেতা। বাংলার আরেক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু, সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়, মানব মুখোপাধ্যায়, শ্যামল চক্রবর্তী, অনিল বিশ্বাস তাঁদের দেহদান করে গিয়েছিলেন। এছাড়া সমর মুখোপাধ্যায়, বিনয় চৌধুরীদেরও নাম আছে তালিকায়।
তবে কেবল কমিউনিস্ট নেতারাই নন। অন্যান্য আরও একাধিক ভারতীয় ব্যক্তিত্বরা মরণোত্তর দেহদান করে গিয়েছেন। এঁরা হলেন বিচারপতি লায়লা শেঠ, জনসংঘ নেতা নানাজি দেশমুখ, প্রমুখ।
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য কোথায় দেহদান করেছেন?
৮ অগস্ট তাঁর মৃত্যুর পরই তাঁর চক্ষুদান করা হয়ে গিয়েছে। আগামী ৯ অগস্ট শুক্রবার বিধানসভা, আলিমুদ্দিন ঘোরানোর পর বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর দেহ নিয়ে যাওয়া হবে নীল রতন সরকার হাসপাতালে। সেখানেই দেহদান করা হবে তাঁর। বিকেল ৪টে নাগাদ এই কাজ সম্পন্ন হবে বলেই জানানো হয়েছে সিপিএমের তরফে।
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শেষ যাত্রা
আগামী ৯ অগস্ট শেষ যাত্রা হবে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর। তিনি তাঁর দেহদান করেছেন। তাই শেষকৃত্যের বদলে নীল রতন সরকার হাসপাতালে দান করা হবে তবে দেহ। এর আগে আগামীকাল পিস ওয়ার্ল্ড থেকে বিধানসভার উদ্দেশ্যে সকাল ১০.৩০ টায় বেরোবে তাঁর দেহ। তারপর বিধানসভা ভবনে থাকবে সকাল ১১-১১.৩০ মিনিটে। এরপর মুজফফর আহমেদ ভবন যাওয়া হবে দুপুর ১২-৩.১৫ মিনিটে, এবং দীনেশ মজুমদার ভবনে ৩.৩০-৩.৪৫ মিনিটে। সবশেষে ৩.৪৫ মিনিট দীনেশ মজুমদার ভবন থেকে দেহদানের জন্য নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের উদ্দেশ্যে শেষযাত্রা। দেহদান করা হবে বিকাল ৪টে নাগাদ।