দীর্ঘ দিন ধরেই এমন কথা অনেকে জানতেন। কিন্তু খাতায় কলমে থেকে গেলেও এই বিষয়টি ঠিক রে প্রণয়ন করা হচ্ছিল না। এবার সেই অমীমাংসিবিষয়টি নিয়েই সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা হাইকোর্ট। আয়ুর্বেদ চিকিৎসকদের দেওয়া শংসাপত্রের বৈধতার ছবি পরিষ্কার হল এর ফলে। এটির সুদূরপ্রসারী প্রভাব সাধারণ মানুষের জীবনে পড়বে বলেও মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
কী বলা হয়েছে হাইকোর্টের তরফে?
আয়ুর্বেদ চিকিৎসকদের ফিট সার্টিফিকেটকেমান্যতা দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এর পর থেকে সব আয়ুর্বেদ চিকিৎসকদের দেওয়া ফিট সার্টিফিকেট সর্বত্র গৃহীত হতে পারে। এই মর্মে রাজ্যকে জানিয়ে দিল উচ্চ আদালত। অনেকেই মনে করছেন, এর প্রভাব পড়তে চলেছে সাধারণ মানুষের জীবনে।
(আরও পড়ুন: গরমে কলা খাচ্ছেন? জানেন কি এই সময়ে কলা খেলে কী হয়)
তবে বিষয়টির নিষ্পত্তি এত দিন পরে হলেও, আসলে এর সূচনা হয়েছিল অনেক আগেই। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় পাশ করা আইন ছিল ১৯৬১ সাল থেকে। তখনই ঠিক হয় এর পর থেকে আয়ুর্বেদ চিকিৎসকদের দেওয়া ফিট সার্টিফিকেটকে বৈধতা দিতে হবে। কিন্তু এই বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়ে যাওয়ার পরেও আইনটি নানা কারণে প্রণয়ন করা যায়নি। এর ফলে বিগত বছরগুলিতে রাজ্যের আয়ুর্বেদ চিকিৎসকদের দেওয়া ফিট সার্টিফিকেট বহু জায়গায় গৃহীত হয়নি। শেষ পর্যন্ত সেই সমস্যারই সুরাহা হল।
(আরও পড়ুন: ডেথ সার্টিফিকেট দিতে পারবেন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকেরাও, এতে কী কী হবে এবার)
সম্প্রতি আয়ুর্বেদ চিকিৎসক কৃষ্ণেন্দু সরকার এ বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। গত ২৪ জানুয়ারি তিনি হাইকোর্টের কাছে এই বিষয়টির নিষ্পত্তির জন্য আবেদন করেন। সেই মামলারই রায় দেওয়া হল ২৩ মার্চ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার।
(আরও পড়ুন: পুজোর দিনে উপোস করবেন? কোন তেলের রান্না খাবেন)
এর ফলে এখন থেকে বহু সাধারণ মানুষকেই আর ফিট সার্টিফিকেটের জন্য অ্যালোপাথি শাস্ত্র নিয়ে চিকিৎসা করা চিকিৎসকদের দ্বারস্থ হতে হবে না। তাঁরা আয়ুর্বেদ চিকিৎসকদের থেকেই শংসাপত্র পাবেন। এর আগে দেশে আয়ুর্বেদ চিকিৎসকরা ডেথ সার্টিফিকেট দিতে পারবেন বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কেন্দ্র সরকারের তরফে। তার পরে এই সিদ্ধান্ত। সব মিলিয়ে আযুর্বেদ চিকিৎসকরা রীতিমতো খুশি।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup