গত বছরে নেদারল্যান্ডসের লেইডেন শহরের বোটানিক্যাল গার্ডেনে এক বিরল উদ্ভিদ আবার বেঁচে ওঠে। প্রায় ২৫ বছর পরে ওই বোটানিক্যাল গার্ডেনে এই বিরল গাছটি ফুটল। এর নাম Amorphophallus decus-silvae। যদিও প্রচলিত নাম ‘,পুরুষাঙ্গ উদ্ভিদ’।
ইউরোপের মাটিতে এত বছর বাদে ফুটলেও কাম্বোডিয়ার কিছু অঞ্চলে মাঝে মধ্যে ফুটতে দেখা যায় এই গাছটিকে। খুবই বিরল প্রজাতির এই গাছ একেবারে কম উর্বর জায়গায় বাঁচতে পারে। কারণ মাটি থেকে প্রায় কোনও পুষ্টিই এরা সংগ্রহ করে না। মূলত পোকামাকড় শিকার করেই বেঁচে থাকে এই গাছ। এরা মাংসাশী উদ্ভিদ বা পতঙ্গভুক উদ্ভিদ।
এই প্রজাতির উদ্ভিদের সংখ্যা ক্রমশ কমে আসছে। এই গাছ নিজের যে অংশটির মধ্যে পতঙ্গ বা পোকামাকড় শিকার করে, সেই অংশটি অনেকটা পুরুষাঙ্গের মতো দেখতে। সেই কারণেই এটি নিয়ে কৌতূহল রয়েছে।
কিন্তু হালে একটি ঘটনা উদ্বেগ বাড়িয়েছে কাম্বোডিয়ার সরকার এবং পরিবেশ মন্ত্রকের মধ্যে। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি Viral হয়ে গিয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, ওই দেসের তিন মহিলা জঙ্গলে সেই গাছটির সামনে বসে রয়েছেন। এবং পুরুষাঙ্গের মতো দেখতে অংশগুলি গাছ থেকে ছিঁড়ে নিচ্ছেন।
এই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই সেই দেসের সরকার এবং বন দফতর রীতিমতো ক্ষোভ ব্যক্ত করেছে। তাদের তরফে বলা হয়েছে, এই কাণ্ড খুবই দায়িত্বজ্ঞানহীন। এর ফলে সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে বিরল ওই গাছটি। প্রকৃতিকে ভালোবাসা, পরিবেশের প্রতি আগ্রহ বোধ করা এক জিনিস, কিন্তু যে কাণ্ড ওই তিন জন করেছেন, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এমনকী দেশের বনমন্ত্রীও ঘটনাটির নিন্দা করেছেন।