গবেষণায় সামনে এল বিয়ারের গুণাগুণ। এর আগে একাধিক গবেষণা থেকে একথা উঠে এসেছে যে বিয়ার হৃদরোগের আশঙ্কা কমায়, হাড় মজবুত করে এবং ডায়াবিটিস রোগীদের জন্যেও উপকারী । তবে এবার 'পেইন' জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা সূত্রে জানা যাচ্ছে, বিয়ার নাকি শরীরের ব্যথা কমানোর ওষুধ হিসেবেও কাজ করে। দাবি করা হচ্ছে প্যারাসিটামলের ব্যথার ওষুধের থেকেও নাকি দ্রুত এবং ভালো কাজ করে এক গ্লাস বিয়ার।
এনসিবিআইয়ের তথ্য বলছে, ব্যথার ওষুধ প্যারাসিটামল তৈরি হয় প্যারা এমিনোফেনল এবং এসেটিক এসিড বা এসেটিক এনাহাইড্রেডের মিশ্রণে। কিন্তু এবার গবেষকদের দাবি এই ১৮৭৭ বা ১৮৫২ তে তৈরি এই পেনকিলারকেও হার মানাবে বিয়ার।
লন্ডনের গ্রিনউইচ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ৪০০ জনকে নিয়ে আঠারোটি পরীক্ষা করেন। এবং সেই পরীক্ষার ফল থেকে জানা যায়, অ্যালকোহল অতি দ্রুত ব্যথা কমিয়ে দিতে পারে।
এছাড়াও আরও একাধিক রোগের ওষুধ এই বিয়ার, যেমন,
১) বিয়ার কিডনির স্টোন কমাতে সাহায্য করে।
২) স্ট্রেস লেভেল কমাতে সাহায্য করে।
৩) স্মৃতিশক্তিকে ধারালো করে বিয়ার।
৪) হৃদরোগে আক্রান্তদের জন্য জরুরি ওষুধ হতে পারে।
৫) ডায়বেটিস পেশেন্টদের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, যাঁরা বিয়ার খান না, তাঁদের ডায়াবিটিস হওয়ার আশঙ্কা বেশি রয়েছে, যাঁরা খান তাঁদের তুলনায়।
৬) বলা হয় বিয়ার নাকি মস্তিষ্কের ক্ষমতাকেও বাড়িয়ে তোলে।
৭) আমাদের দাঁতে প্রতিদিন যে সমস্ত ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধে সেগুলোকেও দূর করে।
৮) বিয়ার আমাদের শরীরে ভিটামিন বি-র জোগান দেয়।
কিন্তু তা বলে কি রোজ বিয়ার খাবেন? মোটেও তা নয়। একটি গবেষণায় এমন কথা জানা গেলেওষ এটি এখনও সর্বজনস্বীকৃত নয়। আগামী দিনে এই বিষয়ে আরও কথা জানা গেলে, তবেই চিকিৎসকের পরামর্শ এমন কিছু করা উচিত।