গত দুই বছর পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো ভারত জোর দিয়েছে স্বাস্থ্যক্ষেত্রের উপর। দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার হাল যে মোটেই ভালো নয়, তা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে করোনাকালে। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে তাই স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বরাদ্দ বেড়েছিল১৩৭%। সব মিলিয়ে ২,২৩,৮৪৬ কোটি টাকা, যা জিডিপি -র মাত্র ১.৮%। এই বছর দেশের স্বাস্থ্য মহল দাবি করেছে, এই বরাদ্দ যেন কম করে ২.৫% থেকে ৩% বাড়ানো হয়।
জনস্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে পরিকাঠামো ও উপযুক্ত মানবসম্পদ তৈরির জন্য আসন্ন বাজেটে নতুন দিশা দরকার। এমনই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। শহর ও গ্রামের মধ্যে স্বাস্থ্য পরিষেবার যে ফারাক রয়েছে, তা ঘোচানোর জন্য সুচিন্তিত ভাবে অগ্রসর হওয়ার প্রয়োজন বলেও মনে করা হচ্ছে।
দেশীয় চিকিৎসায় আরেক ধাপ এগোনোর জন্য ন্যাশনাল ডিজিটাল হেলথ মিশন, ন্যাশনাল ডিজিটাল হেলথ ব্লুপ্রিন্ট এবং পিএলআই-এর মতো প্রকল্পগুলোকে নতুন দিশা দেখানো প্রয়োজন বাজেটে। দেশীয় চিকিৎসা ও উদ্ভাবনে এগোনোর জন্য প্রয়োজন আরও গবেষণা এবং তার জন্য বাজেটে নির্দিষ্ট বরাদ্দও দরকার।
এই বাজেটে নিরাময়মূলক পরিষেবা থেকে প্রতিরোধমূলক পরিষেবায় জোর দেওয়া হবে কি না, সে দিকেও তাকিয়ে রয়েছেন স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত মানুষ। চিকিৎসার যন্ত্রপাতির ক্ষেত্রে প্রায় ৭০-৮০% আমদানি করতে হয় ভারতকে। এখানে দেশীয় প্রযুক্তির উন্নতি ও আত্মনির্ভরতার দিকটির কথাও ভুললে চলবে না। টেলিমেডিসিনকে কীভাবে তৃণমূল স্তরে পৌঁছে দেওয়া যায়, সেই দিকেও লক্ষ্য থাকবে এবারের বাজেটের দিকে।