হালে ভিটামিন D-এর অভাব নিয়ে সচেতনতা বেড়েছে। বিশেষ করে করোনাকালে ভিটামিন D নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা এবং চিকিৎসকদের মতামত থেকে বহু মানুষই বুঝতে পেরেছেন, সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য এই ভিটামিনটি কেন এত গুরুত্বপূর্ণ।
করোনাকালে আরও একটি ঘটনা ঘটেছে। বহু মানুষের বাড়ি থেকে বেরোনোর পরিমাণ কমে গিয়েছে। ফলে ত্বকে রোদ লাগার পরিমাণ কমেছে। এতে কমেছে ভিটামিন D-এর উৎপাদন। আর তাই অনেকেই জোর দিয়েছেন আলাদা করে ভিটামিন D খাওয়ার বিষয়ে। কিন্তু তাতে কোনও বিপদ হতে পারে কি? বিশেষ করে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ভিটামিন D যদি শরীরে জমা হতে থাকে, তা কি বিপদের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়?
সম্প্রতি হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে চিকিৎসক করম মাখিজা জানিয়েছেন, অতিরিক্ত ভিটামিন D শরীরের ক্ষতি করতে পারে। বিশেষ করে কয়েকটি অঙ্গের উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে এটি।
পুষ্টিবিদ প্রিয়াঙ্কা জয়সওয়ালও একই কথা জানিয়েছেন। তাঁর মতে, ভিটামিন D জলে দ্রবীভূত হয় না। ফলে অতিরিক্ত ভিটামিন D শরীর থেকে মূত্রের সঙ্গে বেরিয়ে যায় না। শরীরে জমা হতে থাকে। এটি বিভিন্ন অঙ্গের উপর প্রভাব ফেলে।
কিন্তু অতিরিক্ত ভিটামিন D কি কারও মাৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে?
প্রিয়াঙ্কা বলছেন, এখনও পর্যন্ত এমন কোনও ঘটনা তাঁর নজরে পড়েনি। তবে এ কথা সত্যি, অতিরিক্ত ভিটামিন D-র কারণে হৃদযন্ত্র, কিডনির মতো অঙ্গের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। তাছাড়া হাড়ও দুর্বল হয়ে যেতে পারে এতে।
তাই প্রিয়াঙ্কার পরামর্শ, সবচেয়ে ভালো উপায় হল যতটা বেশি সম্ভব প্রাকৃতিকভাবে ভিটামিন D-এর চাহিদা পূরণ করুন। অর্থাৎ ত্বকে রোদ লাগলে শরীরে যে ভিটামিন D উৎপাদন হয়, সেটিই সবচেয়ে নিরাপদ।