চিকিৎসকদের মতে বেড়ে যাওয়া পলিউশন অ্যাজমার কারণ। আবার অনেক ক্ষেত্রে বংশগত কারণেও আপনি অ্যাজমার শিকার হতে পারেন। বেশি কাজ করলে একটু দৌড়দৌড়ি করলে হাঁপিয়ে ওঠেন, ভাবছেন দুর্বলতার কারণে এমনটা হচ্ছে? কিন্তু আপনাদের ধারণা একদমই ভুল, এগুলি হতে পারে অ্যাজমার লক্ষণ।
হাঁপানি হওয়ার কি আছে কোনও নির্দিষ্ট বয়স? কোনও নির্দিষ্ট সময়? যদি কেউ মনে করে থাকেন হাঁপানি শুধু মাত্র শীতকালে হয়ে থাকে এই ধারণা একদমই ভুল। যে কোনও সময় যে কোনও বয়সে এটি হতে পারে। হতে পারে যে কোনও সময় তবে আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় এর প্রভাব বেশি চোখে পড়ে।
অ্যাজমা হওয়ার কারণ?
আমাদের ফুসফুস কয়েকটি নালি দ্বারা গঠিত। সঙ্গে আছে অনেক পেশি। কোনও কারণে এই পেশি ফুলে গেলে রক্ত চলাচলে অসুবিধে হয়ে থাকে। ধুলো, দূষণের কারণে পেশিগুলি বাঁধাপ্রাপ্ত হয় ফলে শরীরে প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের সরবরাহ হয় না। ফলে নিশ্বাস নিতে সমস্যা হয়। যাঁদের এই সমস্যা আছে বহন করতে হবে আমৃত্যু।
ধীরে ধীরে অ্যাজমা রোগের প্রভাব বাড়ছে এমনটাই বলছেন আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ অ্যালার্জির অধ্যাপকরা। অ্যালার্জি পার্টনারদের ভাইস প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম ম্যাককান বলছেন, পরবর্তি বছরগুলিতে অ্যাজমা রোগির সংখ্যা বাড়তে পারে। তাঁরা বেশ কিছু রোগীর ওপর পরীক্ষা করেছেন এবং জানাচ্ছেন যে, ১০৭০ জন রোগীর মধ্যে বেশিরভাগের বয়স ৪৩-৫০ এর মধ্যে। তাঁদের মধ্যে মহিলার অনুপাত ৭০.৫%। এর মধ্যে ১৩.৮% রোগীর অবস্থা ঠিকঠাক, ২৬% মাঝারি, ৪৫.৪% এর অবস্থা খুবই খারাপ।
চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়ে থাকেন, অ্যাজমা রোগীদের আলো বাতাস যুক্ত ঘরে থাকতে, বদ্ধ ঘর তাঁদের জন্য খারাপ ফল দিতে পারে। রাস্তায় বেরনোর সময় মাস্ক সঙ্গে রাখুন, নাক মুখ ঢেকে রাখুন। নিজেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন। বাড়িতে পোষ্য থাকলে নিন বাড়তি সতর্কতা। শীত ও বর্ষাকালে গরম জিনিস বেশি ব্যবহার করুন। নিজের ব্যবহৃত জিনিসগুলি প্রয়োজনে রোদে দিতে পারেন।
অ্যাজমা রুখতে জীবনযাত্রার সঙ্গে সঙ্গে খাদ্যাভাসেও পরিবর্তন আনতে হবে। অ্যালার্জি হয় বা হতে পারে এমন খাবারগুলি এড়িয়ে চলুন বা খেলেও ডাক্তারের পরামর্শে খাবেন। প্রয়োজনে ইনহিলার ব্যবহার করতে পারেন।