করোনা সংক্রমণ নিয়ে আবার নতুন করে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। পৃথিবীর নানা প্রান্তে আবার বাড়ছে কোভিড সংক্রমণের হার। বিশেষ করে চিনে এই মুহূর্তে সতর্কতা জারি হয়েছে। কারণ সেখানে করোনা নতুন রূপে ফিরে আসছে বলেই মনে করছেন অনেকে। এই অবস্থায় ভারতের রাজ্যগুলিকে সতর্ক করল কেন্দ্র। বলা হল জিনোম সিক্যুয়েন্সিংয়ের উপর আবার জোর দিতে।
ইতিমধ্যেই চার-পাঁচটি দেশে করোনা নতুন করে মারাত্মক আকার ধারণ করছে। এর মধ্যে রয়েছে চিন, জাপান, কোরিয়া, আমেরিকা, ব্রাজিলের মতো দেশ। এই সব দেশে করোনা যে রূপটি সংক্রমণ ঘটাচ্ছে, সেটি একেবারে নতুন রূপ বলেও মনে করছেন অনেকে। আর সেই কারণেই রাজ্যগুলিকে সতর্ক হতে বলছে কেন্দ্র।
এর মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বাWHO-র বিজ্ঞানী মারিয়া ভ্যান কেরখোভ বলেছেন, ২০২২ সালে সারা পৃথিবীতেই কোভিডের জিনোম সিক্যুয়েন্সিং পরীক্ষা প্রায় ৯০ শতাংশ হারে কমে গিয়েছে। আর সেই কারণেই আগামী বছরে ভয়াবহ আকার নিতে পারে কোভিড সংক্রমণ। কারণ করোনা কীভাবে নিজের রূপ বদলাচ্ছে, সে সম্পর্কে ভালো করে ধারণা তৈরিই হয়নি এই বছরে। আগামী বছর সেই কারণেই নাকি এই ভাইরাস আবার কামড় বসাতে পারে। তাঁর কথা যে যুক্তিসঙ্গত তা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত হচ্ছে চিন, জাপান, কোরিয়া, আমেরিকা এবং ব্রাজিলের পরিসংখ্যান দেখে।
বর্তমানে ভারতে কোভিড পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। দেশে কোভিড খুব একটা মারাত্মক হারে বাড়ছে না। কিন্তু উল্লেখিত পাঁচটি দেসে ব্যাপক হারে বাড়ছে। আর সেটিই চিন্তায় ফেলেছে বিশেষজ্ঞদের। সেই সংক্রমণ যে কোনও সময়ে আবার ভারতে ছড়াতে পারে বলেও মনে করছেন দেশের স্বাস্থ্যবিদরা। আর তাই এবার করোনার জিনোম সিক্যুয়েন্সিংয়ে জোর দেওয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার কেন্দ্রের হেলথ সেক্রেটারি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্তদের চিঠি দিয়ে বলেন, আবার নতুন করে করোনা সামলানোর উপর জোর দিতে হবে। এবং তার জন্য এই জিনোম সিক্যুয়েন্সিংই একমাত্র রাস্তা। আপাতত এভাবেই করোনা সংক্রমণের গতিপথের উপর নজরদারি করতে বলছেন তিনি।
এই মুহূর্তে ভারতে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। আগামী দিনেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই থাকবে বলে আশা রাখছেন বিশেষজ্ঞ। কিন্তু সার্বিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আপাতত বাড়ানো হচ্ছে নজরদারি। আর বাড়ানো হচ্ছে পরীক্ষার মাত্রাও। তাতে কোভিড পরিস্থিতি আর কখনও খারাপ হবে না বলে মনে করছেন তাঁরা।