চার ধাম যাত্রার সেরা সময় কখন, কেমন খরচ? কতদিন লাগে, কীভাবে যাবেন? রইল সম্পূর্ণ গাইড

Updated: 30 Apr 2025, 03:30 PM IST Sanket Dhar

অক্ষয় তৃতীয়ার শুভ দিনে শুরু হয়ে গেল চারধাম যাত্রা। ২০২৫ সালে যাঁরা চারধাম যাত্রার পরিকল্পনা করছেন, তাদের জন্য এখানে রইল সম্পূর্ণ গাইড। কীভাবে চারধাম ঘুরবেন, আনুমানিক খরচ থেকে সেরা সময়, সবকিছুরই হদিশ রইল।

1/12অক্ষয় তৃতীয়াতে দ্বারোদ্ঘাটন হয়ে গেল গঙ্গোত্রী ও যমুনোত্রী ধামের। আগামী শুক্রবার ও রবিবার অর্থাৎ ২ মে ও ৪ মে দ্বার উদ্ঘাটন হবে কেদার-বদ্রীর। যার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে চারধাম যাত্রা শুরু হয়ে যাবে উত্তরাখণ্ডে। কীভাবে এই চারধাম ভ্রমণ করবেন, কেমন খরচ ও কতদিন লাগবে, জেনে নিন। (ছবি - উত্তরাখণ্ড ট্যুরিজম)

2/12দিল্লি থেকে প্রথমে আপনাকে পৌঁছাতে হবে হরিদ্বারে। হরিদ্বারের হোটেলে চেক-ইন করার পর সেই দিনটি বিশ্রাম করে সন্ধেয় হর-কি-পৌরি গিয়ে আরতি দেখে আসতে আসতে পারেন। এর পর রাত্রিটা হোটেলে কাটিয়ে পরদিন চেক-আউট করে মুসৌরি বেরিয়ে পড়ুন বারকোটের উদ্দেশ্যে। এর পর সেখানে হোটেলে এক রাত থাকা।

3/12পরদিন ভোর চারটে নাগাদ গাড়ি করে পৌঁছে যেতে হবে জানকিচট্টিয। সেখান থেকে ৫ কিলোমিটার পথ হেঁটে বা ডোলিতে বা ঘোড়ায় চড়ে পৌঁছাতে হবে যমুনোত্রী। যমুনোত্রীতে পৌঁছে গরম যমুনাবাই কুণ্ডে স্নান করে মন্দির দর্শনের পালা। মন্দির দর্শনের পর আপনি ভাত একটি কাপড়ে বেঁধে গরম কুণ্ডের জলে ডুবিয়ে সিদ্ধ করে নিতে পারেন।

4/12তীর্থযাত্রীরা এই রান্না করা ভাতকে ‘প্রসাদ’ হিসেবে বাড়িতে নিয়ে যান। এরপর জানকিচট্টি হয়ে বারকোট ফেরা ও হোটেলে রাত্রিযাপন। পরদিন সকালে জলখাবার খেয়ে উত্তরকাশীর উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ুন গাড়িতে। পথে প্রকাশেশ্বর মহাদেবের দর্শন। পৌঁছানোর পর হোটেলে চেক-ইন করে সন্ধ্যায় বিশ্বনাথ মন্দির দর্শন। এর পর হোটেলে রাত কাটিয়ে পরদিন ভোর পাঁচটায় গাড়িতে করে গঙ্গোত্রী উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়া।

5/12গঙ্গোত্রীতে গঙ্গা নদীতে পবিত্র স্নান। তারপর মন্দির দর্শন ও রাত কাটাতে উত্তরকাশীতে ফিরে যাওয়া। পরদিন সকাল সাতটায় জলখাবার খেয়ে হোটেল থেকে চেক আউট করে তেহরি বাঁধ হয়ে গুপ্তকাশীর উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ুন। গুপ্তকাশীতে হোটেলে চেক-ইন করুন সন্ধ্যায় বিখ্যাত বিশ্বনাথ দর্শন করে রাত কাটাতে হোটেলে ফিরে আসা।

6/12পরদিন ভোরবেলা পাঁচটা নাগাদ হোটেল থেকে চেক-আউট করে গৌরীকুণ্ডের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ুন। সেখান থেকে কেদারনাথের উদ্দেশ্যে ১৭ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হবে হেঁটে, ডোলিতে বা ঘোড়ায় চড়ে। কেদারনাথে পৌঁছানোর পর হোটেলে চেক-ইন করে সন্ধ্যায় মন্দিরের পিছনে শঙ্করাচার্য সমাধি দর্শন ও সন্ধ্যা আরতিতে অংশ নেওয়া। হোটেলে রাত্রিযাপন করুন।

7/12পরদিন ভোর চারটে নাগাদ মন্দির দর্শন ও দর্শনের পর হোটেলে ফিরে আসা। জলখাবার খেয়ে চেক আউট করে গৌরীকুণ্ডে নেমে গুপ্তকাশীতে চলে যান। সেখানে পৌঁছানোর পর হোটেলে চেক-ইন করে রাত কাটিয়ে নিন। পরদিন সকাল সাতটায় জলখাবার খেয়ে চোপতা হয়ে বদ্রীনাথের উদ্দেশ্যে যাত্রা।

8/12সেখানে হোটেলে চেক ইন করার পর মানা গ্রামের (তিব্বত সীমান্তের পূর্ববর্তী শেষ গ্রাম) আকর্ষণীয় দর্শনীয় স্থানগুলি ঘুরে দেখতে পারেন। ব্যাস গুফা, গণেশ গুফা, চরণপাদুকা, ভীম পুল এবং সরস্বতী নদীর ‘উৎসমুখ’ পরিদর্শন করুন। এরপর হোটেলে ফিরে আসুন, সন্ধ্যা আরতি দেখে হোটেলে রাত্রিযাপন।

9/12ভোরবেলা চারটে নাগাদ তপ্তকুণ্ড, যাকে সূর্যকুণ্ডও বলা হয়, স্নান করে মন্দির দর্শনের জন্য যান। তারপর হোটেলে ফিরে জলখাবার খেয়ে চেক-আউট করে শ্রীনগরের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ুন। শ্রীনগরে পৌঁছানোর পর হোটেলে চেক-ইন করুন।

10/12পরদিন জলখাবার খেয়ে ঋষিকেশের উদ্দেশ্যে যাত্রা। সেখানে হোটেলে চেক-ইন করে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে লক্ষ্মণ ঝুলা, রাম ঝুলা, রঘুনাথ মন্দির এবং গীতা ভবন ইত্যাদি দর্শনীয় স্থানগুলি ঘুরে দেখুন। সন্ধ্যায় ত্রিবেণী ঘাটে সুগন্ধি আরতিতে অংশ নিন।

11/12পরদিন সকাল নটায় জলখাবার খেয়ে দিল্লির উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়া। দিল্লি পৌঁছানোর পর সেখান থেকে ট্রেন বা প্লেনে ফিরে আসুন আপনার গন্তব্যে। সম্পূর্ণ যাত্রাটি মোট ১২ দিনের। এর মধ্যে কিছু স্থান যদি না যেতে চান। তবে সময় কম লাগতে পারে।

12/12চারধাম যাত্রার মাথা পিছু খরচ মোটামুটি গড়ে ১৫ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা। যদি এসি গাড়ি বা হোটেলে না থাকেন, তবে এই খরচ আরও কিছুটা কম হবে। এছাড়া ট্যুর অপারেটরের মাধ্যমে গেলে খরচ হেরফের হতে পারে সামান্য। চার ধাম যাত্রার সেরা সময় মে জুন মাস। এমনিতে এপ্রিল থেকে নভেম্বর পর্যন্ত খোলা থাকে চার ধামের দ্বার।

পরবর্তী ফটো গ্যালারি

চার ধাম যাত্রার সেরা সময় কখন, কেমন খরচ? কতদিন লাগে, কীভাবে যাবেন? রইল সম্পূর্ণ গাইড

Latest News

Latest lifestyle News in Bangla

IPL 2025 News in Bangla

Trending Topics

Sections

বাংলার মুখ

ময়দান

ক্রিকেট

ভাগ্যলিপি