জন্মাষ্টমী, যাকে বলা হয় গোকুলাষ্টমী, কৃষ্ণাষ্টমী। প্রতিবছর ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে এই উৎসব পালন করা হয়। চলতি বছর ২৬ আগস্ট উদযাপন হবে জন্মাষ্টমী। ঠিক তার পরের দিন অর্থাৎ ২৭ আগস্ট দহি হান্ডি উৎসব উদযাপন হবে। জন্মাষ্টমীর দিন সারাদেশ জুড়ে অগণিত ভক্ত উপবাস থাকেন এবং মন্ত্র উচ্চারণ করে কৃষ্ণের আরাধনা করেন।
ভারতের সেরা ১০টি কৃষ্ণ মন্দির
উত্তরপ্রদেশের মথুরার কৃষ্ণ মন্দির: মথুরার কৃষ্ণ মন্দির কৃষ্ণের জন্মস্থান হিসেবে পরিচিত। সারা বছর মথুরাবাসী এই বিশেষ উৎসবের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকেন। জন্মাষ্টমীর সময় গোটা শহর সেজে ওঠে নববধুর সাজে।
বৃন্দাবনে বাঁকে বিহারী মন্দির: উত্তরপ্রদেশের বৃন্দাবনের এই বিখ্যাত মন্দিরটি কৃষ্ণের অন্যতম আরও একটি মন্দির। এই মন্দিরের কৃষ্ণকে বাঁকে বিহারী রুপে পূজা করা হয়।
কর্নাটকে ইসকন মন্দির: বিশ্বের বৃহত্তম ইসকন মন্দিরগুলির মধ্যে অন্যতম হলো কর্নাটকের বেঙ্গালুরু ইসকন মন্দির। প্রতিবছর জন্মাষ্টমীর সময় ভজন,কীর্তন এবং সাংস্কৃতিক পরিবেশনের মাধ্যমে কৃষ্ণের আরাধনা করা হয়।
গুরুভায়ুর মন্দির: দক্ষিণ ভারতের এই বিখ্যাত মন্দিরকে দক্ষিণে দ্বারকাও বলা হয়। এই মন্দিরে কৃষ্ণকে গুরুভায়ুরাপ্পান রুপে পূজা করা হয়।
বৃন্দাবনের প্রেম মন্দির: বৃন্দাবনের প্রেম মন্দির হল কৃষ্ণের অন্যতম বিখ্যাত মন্দির। এই মন্দির ঐশ্বরিক প্রেমের প্রতীক বহন করে। প্রতিবছর জন্মাষ্টমীর সময় সুন্দর করে সাজানো হয় এই মন্দিরটি।
পুরীর জগন্নাথ মন্দির: উড়িষ্যার জগন্নাথ মন্দির জগন্নাথ দেবের মন্দির হিসাবে পরিচিত হলেও এটিও কিন্তু কৃষ্ণের অন্যতম বিখ্যাত মন্দির। জন্মাষ্টমীর সময় সুন্দর করে সাজানো হয় মন্দির চত্বর।
উডুপির কৃষ্ণমঠ: এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন মহান সাধক মাধবাচার্য। রত্নখচিত এই মন্দিরটি প্রতি বছর জন্মাষ্টমীর সময় ঢেলে সাজানো হয়।
রাজস্থানের গোবিন্দ দেবজির মন্দির: রাজস্থানের সিটি প্যালেস কমপ্লেক্স-এর মধ্যে অবস্থিত এই মন্দিরটি জয়পুরের অন্যতম সেরা আকর্ষণ। জন্মাষ্টমীতে প্রচুর ভিড় হয় এই মন্দিরে।
রাজস্থানের শ্রী নাথজি মন্দির: রাজস্থানের নাথদ্বারায় অবস্থিত এই মন্দিরটি জন্মাষ্টমী উৎসবের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত।
দ্বারকার মন্দির: চারটি পবিত্র চারধামের মধ্যে অন্যতম হলো এটি। দ্বারকার রাজা কৃষ্ণকে উৎসর্গ করে এই মন্দিরটি তৈরি করা হয়।