ভারতে ৭০ বছর পরে ফিরে এসেছে চিতা। যদিও ভারতের আদি চিতা এবং নামিবিয়া থেকে আসা চিতার মধ্যে উপপ্রজাতিগত পার্থক্য আছে বলে দাবি করেছেন অনেক বিশেষজ্ঞই। কিন্তু তার পরেও ‘প্রোজেক্ট চিতা’ এখন ভারতের বিরাট বড় আলোচনার বিষয়।
কিন্তু অনেকের মনেই এর পরেও প্রশ্ন আছে, কোনটা চিতা আর কোনটা চিতাবাঘ— তা নিয়ে। অনেকেই হয়তো জানেনও না, এই দুই বিড়াল প্রজাতির প্রাণীর মধ্যে বিশেষ মিলও নেই। কিন্তু কী করে বোঝা যাবে কোনটি চিতা আর কোনটি চিতাবাঘ? সম্প্রতি এক ব্যক্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছেন এই বিষয়টি নিয়ে। তিনি বলেছেন, তাঁর মেয়ের যখন বয়স ছিল ৫ বছর, তখন সে নিজেই খুঁজে বার করেছিলেন এমন ৩টি রাস্তা, যা থেকে সহজেই বোঝা যাবে, কোনটি চিতা আর কোনটি চিতাবাঘ। দেখে নেওয়া যাক, সেগুলি কী কী।
ইংরেজিতে চিতাকে বলে Cheetah আর চিতাবাঘকে বলে Leopard। কোন তিনটি বৈশিষ্ট্য দেখে এদের মধ্যে পার্থক্য করা সম্ভব।
১। সোশ্যাল মিডিয়ায় আদিত্য সিং নামের ব্যক্তি লিখেছেন, তাঁর ৫ বছরের কন্যা বলত, ‘চিতা রোতা হ্যায়’ (চিতা কাঁদে)। চিতার চোখের তলা দিয়ে দু’টি কালো দাগ নেমে এসেছে চোয়ালের দিকে। একে বলে ‘টিয়ার ড্রপ মার্ক’। এটি চিতাবাঘ বা লেপার্ডের থাকে না।
২। আদিত্য সিং লিখেছেন, তাঁর মেয়ের কথায়, ‘লেপার্ড ছোটা হ্যায়, পর নেহি রোতা হ্যায়’। মানে, চিতাবাঘ আকারে চিতার তুলনায় ছোট। কিন্তু ওর চোখের তলায় কোনও ‘টিয়ার ড্রপ মার্ক’ থাকে না।
৩। সবশেষে আদিত্য লিখেছেন, তাঁর মেয়ের কথায়, ‘জাগুয়ার মোটা হ্যায়’ (জাগুয়ার মোটা)। চিতার তুলনায় চিতাবাঘের চেহারাটা একটু মোটার দিকে।
মোটের উপর এই তিনটি বৈশিষ্ট্য দেখেই দুই প্রাণীর মধ্যে পার্থক্য করা সম্ভব। তেমনই বলেছেন আদিত্য। হাল যখন চিতা আর চিতাবাঘ নিয়ে এত আলোচনা, তার মধ্যে এই সহজ তিন ফর্মুলা অনেকেরই হয়তো কাজে লাগবে।