চিকিৎসক অস্মিতা মহাজন বলছেন, 'কোনও অপরেশন বা ওষুধ খেয়ে ছোট শিশু বা কিশোর কিশোরীদের ওজন কমানো সঠিক নয়। কারণ তাদের দেহ সম্পূর্ণ বেড়ে ওঠেনা এই সময়।' তিনি বলছেন, চিকিৎসক যদি রেকমেন্ড করেন একমাত্র তখন ছাড়া এভাবে ওজন কমানো সঠিক পদক্ষেপ নয়। এক্ষেত্রে কিছু ঘরোয়া উপায়ের কথা বলছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ অস্মিতা মহাজন।
শিশুর ওজন হু হু করে বেড়ে যেতে থাকলে আর তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে স্বভাবতই উদ্বিগ্ন হবেন বাবা মা। কারণ ওবেসিটি খুব কম বয়সে শুরু হলে তা বিভিন্ন রোগ সমস্যার জন্ম দেয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন শিশুর ওজনের দিকে নজরের থেকেও বেশি প্রয়োজন এটা লক্ষ্য রাখা যে শিশুটি সঠিক আহার পাচ্ছে কি না। সঠিক পুষ্টিযুক্ত খাবার সে খাচ্ছে কি না। খুব স্পষ্টভাবে বললে, শিশু সারাদিনে কী খাচ্ছে সেটাই বড় বিষয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কম বয়সে ওজন বেড়ে যাওয়ার সমস্যায় ডিপ্রেশনের মতো রোগ চেপে বসে শিশুকে।
সেক্ষেত্রে টিপস বলতে বলা হচ্ছে, একসঙ্গে পরিবারের সকলকে খেতে বসতে হবে। তাতে নজর রাখা যাবে শিশু কী খাচ্ছে, কতটা খাচ্ছে তার ওপর। অন্যদিকে, শিশুর দৌড়ঝাঁপ রোজের রুটিনে থাকছে কি না তা নিয়েও নজর রাখার কথা বলা হচ্ছে। শস্য জাতীয় খাবার যেমন শিশুর ডায়েটে রাখতে হবে। তেমনই ফলের জুস বা ক্যান্ডিও রাখতে হবে এই ডায়েট চার্টে। সব বয়সের শিশুরা যাতে শারীরিক কসরতের মধ্যে থাকে সেদিকে নজর রাখতে হবে। এক্ষেত্রে খোলাধুলো রোজের রুটিনে রাখা আবশ্যক বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।