২০১৯ সালের একেবারে শেষে চিনের উহান প্রদেশ খবরে আসে করোনার কারণে। আবার নতুন করে সেই করোনার কারণেই চিনের এই প্রদেশ খবরে। এবং এই খবর সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীদের কাছেও উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সম্প্রতি বিজ্ঞানীদের মাথাব্যথার কারণ হয়েছে Hybrid Covid। করোনার দু’টি রূপের যুগ্ম সংক্রমণ কারও শরীরে হলে, তাকে এই Hybrid Covid বলা হয়। তিন ধরনের হাইব্রিড কোভিডের কথা ইতিমধ্যেই বলেছেন বিজ্ঞানীরা।
হাইব্রিড কোভিডের মধ্যে XE ভ্যারিয়েন্টটি নিয়ে সবচেয়ে উদ্বেগে বিজ্ঞানীরা। এটি ওমিক্রনের দু’টি রূপ BA.1 এবং BA.2-এর যুগ্ম সংক্রমণ। ইতিমধ্যেই ইংল্যান্ডে এই Hybrid Covid মারাত্মক হারে সংক্রমণ ঘটাতে শুরু করেছে।
কিন্তু এর চেয়েও বেশি করে ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে নতুন করোনা। এটি দেখা গিয়েছে চিনে। এই দেশের উহান প্রদেশে আবার মারাত্মকভাবে ছড়িয়েছে করোনা সংক্রমণ।
চিনের নতুন করোনার বৈশিষ্ট্য কী?
এখনও পর্যন্ত যা খবর পাওয়া গিয়েছে, তাতে এখানে করোনার মূলত দু’টি রূপ ছড়িয়েছে। এই দু’টিই ওমিক্রনের রূপ। তেমনই বলা হয়েছে। কিন্তু এগুলির সঙ্গে ওমিক্রন BA.1 এবং BA.2-এর বিশেষ মিল নেই। আর সেটিই বিজ্ঞানীদের চিন্তার কারণ।
ইতিমধ্যেই বিজ্ঞানী রাজীব বেঙ্কাইয়া সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, চিনে করোনার এই নতুন রূপ আবার বাকি পৃথিবীর জন্য মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে। তাঁর বক্তব্য চিনের সরকার যদি এই নতুন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ আটকাতে না পারে, তাহলে এটি বারবার খুব দ্রুত রূপ বদল করবে এবং সেটি মারাত্মক হয়ে উঠবে।
সারা পৃথিবীর করোনা সংক্রান্ত ভবিষ্যতের অনেকটাই এখন চিনের হাতে। এমনই মনে করছেন বিজ্ঞানীদের অনেকে।