সাম্প্রতিক প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, স্বল্পমেয়াদী বায়ুদূষণের কারণে ভারতের প্রথমসারির ১০টি শহরে বার্ষিক ৩৩ হাজার জন প্রাণ হারিয়েছেন। প্রসঙ্গত, প্রতি বছর ১২ হাজার মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে রাজধানী দিল্লি। গবেষণায় দেখা গেছে বাতাসে PM 2.5-এর কম ঘনত্বে মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যায় এবং উচ্চ ঘনত্বে তা কমে যায়। এমনকি বর্তমান ন্যাশনাল অ্যাম্বিয়েন্ট এয়ার কোয়ালিটি স্ট্যান্ডার্ডের ৬০ মাইক্রোগ্রাম প্রতি ঘনমিটারের নীচে বায়ুদূষণের মাত্রাও ভারতে দৈনিক মৃত্যুর হার বাড়ায়।
অশোকা ইউনিভার্সিটি, সাসটেইনেবল ফিউচার কোলাবোরেটিভ (এসএফসি) ও বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয় (ইউএস)-এর গবেষকরা এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা করছেন। সার্ভে করা সমস্ত শহরগুলির মধ্যে দিল্লিতে সর্বোচ্চ, তারপরে রয়েছে মুম্বই-এর নাম (প্রতি বছর প্রায় ৫,১০০ জনের মৃত্যু)। যেখানে সিমলায় বায়ু দূষণের মাত্রা সর্বনিম্ন ছিল, সেখানেও বায়ুদূষণের ফলে প্রতি বছর ৫৯ জন প্রাণ হারিয়েছে। অন্যান্য শহরগুলির মধ্যে তালিকায় রয়েছে, কলকাতা (প্রতি বছরে ৪,৭০০ জনের মৃত্যু), চেন্নাই (প্রতি বছরে ২,৯০০ জন), আহমেদাবাদ (প্রতি বছরে ২,৫০০ জন), বেঙ্গালুরু (প্রতি বছর ২,১০০ জন), হায়দ্রাবাদ (প্রতি বছরে ১,৬০০ জন), পুনে (প্রতি বছরে ১,৪০০ জন), বারাণসী (প্রতি বছরে ৮৩০ জন)।
SFC-এর পরিবেশগত স্বাস্থ্য ও নীতি গবেষক ভার্গব কৃষ্ণ X.com-এর একটি পোস্টে বলেন, ‘আমরা দেখেছি যে এই শহরগুলিতে প্রতি বছর প্রায় ৩৩ হাজার জনের মৃত্যুর জন্য দায়ী বায়ুতে উপস্থিত দূষক পদার্থ, দূষিত বায়ু কণা৷ তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে বর্তমান নীতি উপকরণ, যেমন গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান (GRAP) মূলত চরম অবস্থার ওপর ফোকাস করে। এর পরিবর্তে, সারা বছর ধরে কাজ চালানোর প্রয়োজন রয়েছে। কারণ ঝুঁকির একটি বড় অংশ নিম্ন থেকে মাঝারি বায়ু দূষণের স্তরে কেন্দ্রীভূত, যেখানে GRAP মূলত অকার্যকর। ফলে বায়ু দূষণ দিয়ে বিস্তারে ও গভীরে কাজ করার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছেন ভার্গব কৃষ্ণ।