দৈনন্দিন জীবনে যে সমস্ত কাজ করা হয়, তার বেশিরভাগই জল ছাড়া অসম্পূর্ণ। শুধু তৃষ্ণা নিবারণ নয়, রান্না করা থেকে শুরু করা স্নান করা সবকিছুতেই প্রয়োজন হয় জল। এই অতিরিক্ত জলের প্রয়োজনীয়তা মেটাতে এখন প্রায় সব বাড়িতেই থাকে একটি করে জলের ট্যাঙ্ক। আজ আপনাদের জানানো হবে কীভাবে কোনও পরিশ্রম ছাড়াই এই ট্যাঙ্কের জল পরিষ্কার করতে পারবেন আপনি।
বাড়ির ট্যাঙ্ক দীর্ঘদিন অপরিষ্কার থাকলে সেই জল ব্যবহার করা একেবারেই উচিত নয়। ট্যাঙ্কের জল পরিষ্কার করার জন্য আপনি ব্যবহার করতে পারেন জাম কাঠ। জাম কাঠ যেমন শক্ত পোক্ত হয় তেমন অনেকদিন জলে থাকলেও সেটি পচে যায় না তাই এটি খুব ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারেন ট্যাঙ্কের জল পরিষ্কার করার জন্য।
(আরও পড়ুন: রান্না করতে গিয়ে খাবারে বেশি হলুদ পড়ে গিয়েছে? জেনে নিন স্বাদ ফেরাতে কী করবেন)
জাম কাঠ ব্যবহার করার উপকারিতা
জাম কাঠ হলো অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ। জলের ট্যাঙ্কে আপনি যদি জাম কাঠ রাখতে পারেন তাহলে জলের সমস্ত ব্যাকটেরিয়া নিমেষে নষ্ট হয়ে যায়। জলের মধ্যে বেড়ে ওঠা ছত্রাকও ধ্বংস হয়ে যায়। এছাড়া জাম কাঠে থাকা ফাইটোকেমিক্যাল জলের ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাক ধ্বংস করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
জাম কাঠ সবুজ শ্যাওলা পরিষ্কার করতেও কিন্তু ভালো পারে। দীর্ঘদিন ট্যাঙ্ক পরিষ্কার না হলে ধীরে ধীরে শ্যাওলা জমতে শুরু করে ট্যাঙ্কের মধ্যে। এই শ্যাওলা দূর করার জন্য জাম কাঠের জুড়ি মেলা ভার। এছাড়া জলে জাম কাঠ রাখার আরও একটি সুবিধা হল, এটি জলে রাখলে জল দীর্ঘদিন সতেজ থাকে। দীর্ঘদিন ট্যাঙ্কে জল জমে থাকার কারণে জল থেকে যে গন্ধ বের হয় সেটাও কেটে যাবে এই কাঠের উপকারিতার গুনে।
(আরও পড়ুন: আপনার সন্তান কি হৃদরোগে ভুগছে? এই লক্ষণগুলি থাকলে এখনই সচেতন হন)
প্রসঙ্গত, পুরনো দিনের কুয়ো, পাতকুয়ো বা জলের পাত্রে জাম কাঠ রাখার রীতি ছিল। এমনকি অনেকে পুকুরেও জাম কাঠ ফেলে রেখে দিতেন। মনে করা হতো, জাম কাঠ জলে রেখে দিলে সেই জল বিশুদ্ধ হয়ে যায় এবং সেই জল পান করলে কোনও শরীর খারাপ হয় না।