সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে পেট পরিষ্কার না হলে সারাদিনের রুটিনটাই এলোমেলো হয়ে যায়। অনেকের মনেই একটা অস্বস্তি কাজ করে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে এমন অস্বস্তি আরও বেড়ে যায়। এমনিতে যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য নেই, শীতে তাদেরও এই সমস্যা হতে পারে। এর মূল কারণ আমাদের অভ্যাসের পরিবর্তন। শীতকালে বেশি জল খাওয়া হয় না। তা ছাড়া শরীর গরম রাখতে চা ও কফিও ঘন ঘন খাওয়া হয়। পাশাপাশি কাঁচা স্যালাড খাওয়ার অভ্যাসও এই সময় বাড়ে। আর এর থেকেই বাড়ে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রধান কারণ হল ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার কম খাওয়া। খাবারে ফাইবারে কম থাকলে কোষ্ঠকাঠিন্য হবেই। পাশাপাশি অতিরিক্ত তৈলাক্ত মশলাদার খাবার খাওয়ার অভ্যাসও পাল্টানো দরকার।
আয়ুর্বেদ মতে , বাত ও পিত্ত দশা এর জন্য মূলত দায়ী। আবার ডাঃ দীক্ষা ভাবসারের কথায়, দেরি করে ঘুমোনো, দেরি করে খাওয়ার অভ্যাসও কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য সমানভাবে দায়ী। তাঁর কথায় কিছু নির্দিষ্ট খাবার নিয়মিত খেলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলতে পারে।
১. খেজুর: খেজুর মিষ্টি ও ঠান্ডা হয়। বাত আর পিত্ত দশা নিয়ন্ত্রণে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। কোষ্ঠকাঠিন্যের পাশাপাশি এটি অতিরিক্ত অ্যাসিডিটি ও গাঁটের ব্যথা কমায়। এমনকি চুল পড়া কমাতেও সাহায্য করে।
২. মেথি বীজ: এক চামচ মেথি বীজ রাতে ভিজিয়ে রেখে পরদিন সকালে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে অনেকটাই রেহাই মেলে। কোষ্ঠকাঠিন্যের ওষুধ তৈরিতেও মেথিবীজের গুঁড়ো ব্যবহার করা হয়।
৩. ঘি: শীতের সময় ঘি খেলে শরীর গরম থাকে। পাশাপাশি এটি কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতেও সাহায্য করে। ঘিয়ের মধ্যে ভিটামিন এ, ডি, এ ও কে থাকে। এছাড়াও এক গ্লাস গরম দুধে এক চা চামচ ঘি মিশিয়ে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবেই।
৪.আমলকি: আমলকি ল্যাক্সেটিভের অন্যতম উৎস। ল্যাক্সেটিভই কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সাহায্য করে। এই সমস্যা দূর করার পাশাপাশি আমলকি চুল পড়া, ওজন কমে যাওয়ার সমস্যাও দূর করে। ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এটি খেলে সবচেয়ে বেশি কাজ হয়।