তামার পাত্রে ইদানিং অনেকেই জল রাখেন। তামায় অনেক প্রয়োজনীয় খনিজ রয়েছে। এতে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-কার্সিনোজেনিক উপাদান রয়েছে যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ভালো। এই কারণেই আয়ুর্বেদ এবং বিজ্ঞানে তামার পাত্রের জলকে স্বাস্থ্যের জন্য দুর্দান্ত বলে মনে করে হয়।
তামার পাত্রে জল পানের উপকারিতা
পরিপাকতন্ত্রকে শক্তিশালী করে :
তামা পেট, লিভার এবং কিডনির মতো অঙ্গগুলিকে ডিটক্সিফাই করে। এতে এমন কিছু গুণ রয়েছে যা পাকস্থলীর ক্ষতিকারী ব্যাকটেরিয়া দূর করে। ফলে পেটে আলসার ও সংক্রমণের সমস্যা হয় না।
ক্ষত দ্রুত নিরাময় :
কপারে উপস্থিত অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ভাইরাল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যের কারণে এটি দ্রুত ক্ষত সারাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া তামা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে নতুন কোষ তৈরিতেও সাহায্য করে।
বার্ধক্যের প্রভাব হ্রাস :
কপারে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট মুখের সূক্ষ্ম রেখা ও দাগ দূর করে।
কিন্তু তামার পাত্রে জল কীভাবে খাবেন?
অনেকে তামার গ্লাস, বোতল ব্যবহার করেন। সেক্ষেত্রে জানিয়ে রাখি, অল্প সময়ের জন্য জল রেখে খেয়ে কোনও উপকার পাবেন না। উপকার পেকে হলে কমপক্ষে ৮ ঘণ্টা তামার পাত্রে জল রাখতে হবে। অর্থাত্ তামার জগ বা বোতলে আগের রাতেই জল ভরে রেখে দিন। এরপর পরের সারাদিন সেটা পান করুন। তবেই উপকার পাবেন।