কোভিডের সঠিক চিকিৎসা পদ্ধতি কী, তা নিয়ে এখনও নিশ্চিত নন বিজ্ঞানীরা। কোভিডের চিকিৎসায় ইতিমধ্যেই নানা ধরনের ওষুধ প্রয়োগ হয়েছে। কোনওটিতেই যে খুব ভালো ফল পাওয়া গিয়েছে, এমনটা নয়। একমাত্র ভ্যাকসিনই পারে কোভিডকে কিছুটা ঠেকিয়া রাখতে, তা অবশ্য পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে সব ধরনের গবেষণা থেকেই। তার পরেও দেশের নানা প্রান্তে অন্য ধরনের বেশ কিছু চিকিৎসা পদ্ধতির সাহায্য নিচ্ছেন চিকিৎসকরা। আর এর মধ্যে একটি অত্যন্ত অবৈজ্ঞানিক এবং অনৈতিক। এমনই দাবি দেশের নামজাদা চিকিৎসক এবং সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ গগনদীপ কাঙের।
কোন চিকিৎসা পদ্ধতির কথা বলছেন তিনি?
চিকিৎসক গগনদীপ কাঙের মতে, এটি হল monoclonal antibody therapy। তাঁর মতে, এটি ওমিক্রন তো বটেই, করোনার অন্য রূপের ক্ষেত্রেও কোনও কাজে লাগে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।
এখানে বলে রাখা দরকার, National COVID task force-এর তরফে monoclonal antibody therapy-কে কোভিড চিকিৎসা পদ্ধতির তালিকার বাইরে রাখা হয়েছে। গগনদীপ কাঙের মতে, তার পরেও দেশের নানা প্রান্তে বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা এই পদ্ধতিতে কোভিডের চিকিৎসা করছেন। সেটি মোটেই উচিত নয়।
কেন এই প্রসঙ্গটি উঠেছে?
গগনদীপ কাং জানিয়েছেন, হালে এক ৯০ বছরের বৃদ্ধ তাঁকে জানান, সেই ব্যক্তি কোভিড সংক্রমিত কাছাকাছি গিয়েছিলেন বলে চিকিৎসকরা তাঁকে monoclonal antibody therapy করাতে বলেছেন। এই বৃদ্ধ ডায়াবিটিসে ভুগছেন। তিনি গগনদীপ কাঙের কাছে জানতে চান চিকিৎসাপদ্ধতিটির বিষয়ে। এই প্রসঙ্গ তুলেই গগনদীপ টুইটারে লেখেন, এটি অবৈজ্ঞানিক এবং অনৈতিক।
তাহলে চিকিৎসকরা কেন এটি করছেন?
এই monoclonal antibody therapy যে কোভিডের চিকিৎসায় তেমন কোনও কাজের নয়, তা প্রমাণিত। তবু বেসরকারি হাসপাতালের অনেক চিকিৎসক এটি করাচ্ছেন। গগনদীপের ইঙ্গিত, রোগীদের মোটা অঙ্কের আয়ের উদ্দেশ্যেই এই চিকিৎসা পদ্ধতির দিকে ঠেলছেন অনেকে। সেই কারণেই এটিকে ‘অনৈতিক’ বলে দাবি করেছেন তিনি।
যদিও সরাসরি এমন দোষারোপ না করলেও, বহু জায়গাতেই যে এমন কাণ্ড হচ্ছে, এবং সেটি দেশের নামজাদা চিকিৎসকের নজর এড়ায়নি, তা পরিষ্কার। তাঁর পরামর্শ, কোন চিকিৎসায় ঠিক কোন সুবিধা হবে, তা ভালো করে জেনে নিয়ে সেই চিকিৎসাটি করান। আর আপনাকে যা বলা হচ্ছে, তার রেকর্ড রাখুন।