কোভিড-১৯ এখনও বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ জারি রেখেছে। সোমবারের একটি বিবৃতিতে এমন কথাই জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। আজকের বিবৃতিতে বলা হয়, ভাইরাসটি সম্প্রতি রূপান্তরণের পর্যায়ে রয়েছে। এই রূপান্তর পর্যায়ের দিকেই আরও নজর রাখা জরুরি। যতটা সম্ভব এই নতুন নতুন রূপের ক্ষতিকর প্রভাবগুলি প্রশমীত রাখতে হবে।
২০০৫ সালে সংগঠিত আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য নিয়ামক জরুরি কমিটির ১৪ তম বৈঠক হওয়ার পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই বিবৃতি প্রকাশিত হয়। শুক্রবার ২৭ জানুয়ারি করোনা ভাইরাস নিয়েই ছিল এই বছরের বিশেষ বৈঠক।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডাইরেক্টর জেনারেল কোভিড সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ কমিটির পরামর্শের সঙ্গে একমত হয়েছেন। সেইমতো কোভিডকে জনস্বাস্থ্যে একটি জরুরি অবস্থা হিসেবেও বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুই বছরের এই পর্যায় থেকে পৃথিবী এখনও মুক্ত হয়নি বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক সংস্থা। কোভিডের এই তকমাকে নাম দেওয়া হয়েছে জনস্বাস্থ্যের জরুরি অবস্থা যা বিশ্বের উদ্বেগের কারণ (পাবলিক হেলথ এমার্জেন্সি অফ ইন্টারন্যাশনাল কনসার্ন বা পিএইচইআইসি)।
বিবৃতির মতে, কোভিড সংক্রমক রোগগুলির মধ্যে অনেক বেশি ভয়ানক ও মারাত্মক। পুরো স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে ভেঙে দিতে পারে এই একটি ভাইরাস। কমিটির বিশেষ বৈঠকে আলোচনার বিষয় ছিল সারা বিশ্বে পিএইচইআইসি অবস্থা জারি থাকবে কিনা। এছাড়াও পিএইচইআইসি জরুরি অবস্থার অবসান ঘোষণা করলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় যে যে সমস্যা তৈরি হতে পারেন তা নিয়েও আলোচনা হয়।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, কোভিড সংক্রমক রোগ হলেও বিশ্ব জুড়ে অনেকটা আয়ত্তে এসেছে। বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে এই রোগের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও ধীরে ধীরে গড়ে উঠেছে। কীভাবে গড়ে উঠেছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা? সে কথাও জানাচ্ছে বিবৃতি। বলা হচ্ছে, সংক্রমণের মাধ্যমে বা টিকাকরণের মাধ্যমে গড়ে উঠেছে এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। এর ফলে রোগ নিয়ন্ত্রণও সহজ হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের তৈরি বিবৃতিতে বলা হয়, এর ফলে সার্স কোভ ২ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মরবিডিটি ও মৃত্যুর হার অনেকটাই কমছে।
যাই হোক, আগামীদিনেও এই ভাইরাস মানুষ ও প্রাণীদের মধ্যে স্থায়ীভাবে থেকে যাবে তাতে সন্দেহ নেই। তাই দীর্ঘমেয়াদি জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রয়োজন। মানুষ ও প্রাণীজগত থেকে এই ভাইরাসকে নিশ্চিহ্ন করা সম্ভব তা নিয়ে মোটেই নিশ্চিত নন বিশেষজ্ঞরা। বিভিন্ন প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিয়ে মরবিডিটি ও মৃত্যুর হার কমানো যেতে পারে। এভাবেই সম্পূর্ণ পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup