ওমিক্রন সংক্রমণ মারাত্মক হারে বেড়েছে। ব্যাপক সংখ্যক মানুষ প্রতি দিন ওমিক্রনে আক্রান্ত হচ্ছেন। ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার এই সংক্রমণটি। যাঁরা কোভিডে আক্রান্ত হচ্ছেন, শুধু তাঁরা নন, এ অবস্থায় বাড়ির বাকিদেরও সাবধানে থাকতে হবে। কোভিড রোগীদের যেমন যত্নের প্রয়োজন, তেমনই প্রয়োজন বাকিদের নিজেদের নিরাপদ রাখা।
বাড়িতে কোভিড রোগী থাকলে, সবচেয়ে সতর্ক হতে হবে বাথরুম নিয়ে। এমনই বলছে হালের গবেষণা। সম্প্রতি ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক জন গবেষক পরীক্ষা করে দেখেছেন, বাড়ির মধ্যে কোভিডের জীবাণু সবচেয়ে বেশি সময় টিকে থাকতে পারে বাথরুমেই।
কেন এমন হয়?
বিজ্ঞানীরা বলছেন, কোভিডের জীবাণু মানুষের ফুসফুসে যখন থাকে, তখন সে বাঁচার জন্য আর্দ্র পরিবেশটিকে কাজে লাগায়। শ্বাসের সঙ্গে মুখ দিয়ে বাইরে বেরিয়ে এলে সেই জীবাণু বেশি ক্ষণ বেঁচে থাকতে পারে না। কোথায় কত ক্ষণ বেঁচে থাকতে পারে এটি?
- যেখানে বাতাসে আর্দ্রতার মাত্রা খুব কম— মোটামুটি ৪০ শতাংশের নীচে (যেমন খুব শুকনো পরিবেশ এবং খোলা জায়গা), সেখানে মাত্র ৫ সেকেন্ড মতো বাতাসে বেঁচে থাকতে পারে এই জীবাণু।
- যেখানে বাতাসের আর্দ্রতার মাত্রা ৪০ শতাংশ (যেমন অফিস), সেখানে বাতাসে ১০ সেকেন্ড বেঁচে থাকতে পারে এটি।
- শোওয়ার ঘরের মতো জায়গায় মিনিট খানেক পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে।
কিন্তু এই জীবাণু সবচেয়ে বেশি সময় বেঁচে থাকতে পারে বাথরুমের মতো জায়গায়। কারণ এখানে আর্দ্রতার মাত্রা ৯০ শতাংশেরও বেশি হতে পারে।
বাথরুমে কত ক্ষণ বেঁচে থাকতে থাকতে পারে এই জীবাণু? ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলছেন, ২০ মিনিট পর্যন্ত বাথরুমে থেকে যেতে পারে কোভিডের ভাইরাসটি। বাথরুমের আর্দ্র পরিবেশকে কাজে লাগিয়ে সে বাঁচার রসদ সংগ্রহ করে নিতে পারে।
গবেষণাটির জন্য কোভিডের তিনটি রূপ নিয়ে কাজ করেছেন গবেষকরা। চিনে প্রথম যে করোনাভাইরাস দেখা দেয় সেটি, আল্ফা রূপটি, এবং ডেল্টা। সব ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, কমবেশি ২০ মিনিট পর্যন্ত বাথরুমে টিকে থাকছে করোনাভাইরাস।
তাই বাড়িতে কোভিড আক্রান্ত থাকলে, তিনি ব্যবহার করার ২০ মিনিট পরে পর্যন্ত বাথরুম ব্যবহার না করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।