করোনা সংকট কি আবার মারাত্মক আকার নিতে পারে? আবার লকডাউন, আবার আন্তর্জাতিক সীমানা বন্ধ? হালে এই ধরনের প্রশ্ন বহু মানুষের মনেই ঘুরপাক খাচ্ছে। তার বড় কারণ করোনা সংক্রমণের হার হঠাৎ করে বাড়তে শুরু করেছে। সম্প্রতি এই বিষয় নিয়ে মতামত জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO।
কী বলা হয়েছে WHO-র তরফে? তাদের পরিসংখ্যান বলছে, ১১০টি দেশে আবার দ্রুত গতিতে বাড়তে শুরু করেছে করোনা সংক্রমণ। এর পিছনে রয়েছে ওমিক্রনের দু’টি রূপ। BA.4 এবং BA.5। বহু দিন ধরেই ওমিক্রনের এই দু’টি রূপ নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই দু’টি রূপই করোনা সংক্রমণের প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। (আরও পড়ুন: এক জন কত বার করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন? বার বার করোনা হলে কী হয়? বলছে গবেষণা)
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, হালে যত করোনা সংক্রমণ হচ্ছে, তার মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি সংক্রমণের জন্য দায়ী ওমিক্রনের এই রূপ দু’টি। নতুন করে করোনা সংক্রমণের মধ্যে ৩৬.৬ শতাংশই হয়েছে ওমিক্রন BA.4-এ কারণে। আর ১৫.৭ শতাংশের জন্য দায়ী BA.5। (আরও পড়ুন: আসছে ‘ডিজিজ এক্স’! অজানা রোগের অতিমারি শুধু সময়ের অপেক্ষা, আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের)
কিন্তু এই BA.4 এবং BA.5 কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে? এই প্রশ্নেরও উত্তর দেওয়া হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO-র তরফে। বলা হয়েছে, এমনটি ধরে নেওয়ার কোনও কারণ নেই যে করোনা আর নেই। করোনার জীবাণু বহাল তবিয়তেই আছে আমাদের মধ্যে। শুধু তার রূপ বদলে গিয়েছে। ফলে বদলে গিয়েছে তার সংক্রমণের ধরন। সেই কারণে নতুন করে আবার সংক্রমণের হার বাড়ছে। তবে এর পাশাপাশি WHO-র তরফে আশার আলোও দেখানো হয়েছে। বলা হয়েছে, এটি বিরাট সংকটজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে— এমন কোনও লক্ষণ এখনই দেখা যাচ্ছে না।
কবে শেষ হবে এই করোনা সংকট? WHO বলছে, প্রতিটি দেশকেই উদ্যোগ নিতে হবে দেশের জনসংখ্যার অন্তত ৭০ শতাংশের টিকাদান সম্পূর্ণ করার ক্ষেত্রে। সেটি হলেই কমবে সংক্রমণের হার। তার আগে করোনা সংকট পুরোপুরি কাটিয়ে ওঠা যাবে না।