আবার বাড়ছে কোভিডের সংক্রমণ। সারা বিশ্ব জুড়েই একই ছবি। ডেল্টার আতঙ্ক কমতে না কমতে ওমিক্রনের ভয় সারা বিশ্বেই। আবার বন্ধ হচ্ছে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা, বন্ধ হচ্ছে স্কুল-কলেজ-কর্মস্থল। এই সমস্যা কত দিন চলবে? প্রতি বছরই কি এভাবে ফিরে ফিরে কোভিডের আতঙ্ক? এভাবে কি আস্তে আস্তে সাধারণ মানুষের উপার্জন কমবে? বাড়বে সমস্যা? আর কত দিন?
সম্প্রতি এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO-র প্রধান টেড্রস আধানম। তাঁর কথায়, চলতি বছরেই শেষ হতে পারে কোভিডের ভয়াবহতা। কমে যেতে পারে কোভিডের মারণরূপও। কিন্তু শর্ত একটাই।
কী সেই শর্ত? টেড্রস আধানমের বক্তব্য, বৈষম্য দূর করতে হবে। সব দেশকে একসঙ্গে কোভিডকে থামাতে হবে। এবং সে জন্য একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছোতে হবে। এবং সেটা টিকাকরণ নিয়ে। ‘সব দেশ অতিমারিতে আক্রান্ত হয়েছে। অতিমারি চলতে থাকলে সকলের ক্ষতি। কার ক্ষতির পরিমাণ কখন বেড়ে যাবে, সেটাও আগে থেকে বলা সম্ভব নয়। তাই এই ভয় থেকে বেরোতে গেলে বৈষম্য দূর করতে হবে। বৈষম্য দূর হলে কোভিডও দূর হবে।’ বলছেন তিনি।
কেমন বৈষম্য দূর করার কথা বলছেন তিনি? তাঁর মতে, প্রতিটা দেশ যদি আলাদা আলাদা করে নিজের দেশের নাগরিকদের টিকা দেওয়ার কথা ভাবে, তাহলে এই সমস্যার শেষ হতে আরও দেরি হবে। বরং গোটা পৃথিবীর সমস্ত মানুষকে নিয়ে সব দেশগুলোকে একসঙ্গে ভাবতে হবে। মনে রাখতে হবে, গোটা পৃথিবীর সব মানুষের ৭০ শতাংশকে টিকা দিতেই হবে এ বছর। তাহলেই কোভিডকে এই বছরই থামানো সম্ভব।
এখনও পর্যন্ত টিকাকরণ নিয়ে নানা দেশের মধ্যে বৈষম্য রয়েছে। কোনও দেশে টিকাকরণের হার অত্যন্ত বেশি। কোথাও কোথাও বেশির ভাগ মানুষের টিকাকরণ হয়ে যাওয়ার পরে বুস্টার ডোজ চলছে। পুরোপুরি টিকাকরণের হার কোথাও কোথাও ৯০ শতাংশেরও বেশি। আবার কোথাও টিকাকরণে হার ২ শতাংশেরও কম। এই বৈষম্য দূর করতে না পারলে চলতি বছরেও কোভিডের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যাবে না। এমনই মত WHO প্রধানের।