দক্ষিণ ভারতীয় রান্নায় কারি পাতার ব্যবহার বেশি লক্ষ্য করা যায়। যদিও আজকাল অনেক ধরনের রান্নাতেই এটি ব্যবহার করা হচ্ছে। বাজারে যেমন পাওয়া যায় সারা বছর, তেমনই অনেকের বাড়িতেও থাকে কারি পাতার গাছ। খাবারে স্বাদ আনার পাশাপাশি জানেন কি এটির বেশ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতাও আছে। এটি রক্তে গ্লুকোজের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। সঙ্গে এটি শরীরে ফ্যাটের পরিমাণও কমায়।
কীভাবে বানাবেন কারি পাতার রস
গ্যাসে ২ গ্লাস মতো জল বসিয়ে তা ফুটিয়ে নিন। এবার তাতে ১ মুঠো কারি পাতা দিয়ে দিন। ভালো করে ফুটে উঠে পাতা একটু নরম হয়ে এলে নামিয়ে নিন। ছেঁকে নিয়ে মধু ও লেবুর রস দিয়ে পরিবেশন করুন।
উপকারিতা
হজম ঠিক মতো হলে শরীরে ফ্যাট কম জমে। আর কারি পাতার এই রস হজম করতে সাহায্য করে।
বমিভাবের সমস্যাতেও কাজে আসে এটি। গর্ভাবস্থায় যারা নিয়মিত বমির সমস্যায় ভুগছেন তাঁরা চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে কারি পাতার রস খেতে পারেন। এটি পাচনতন্ত্রে থাকা পাচক রসের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। যার ফলে বমিভাব ও শারীরিক অস্থিরতা থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া যায়।
কারি পাতার রস শরীরে জমে থাকা টক্সিনগুলোকে বের করে দেয়। তাই এটি শরীরকে ভিতর থেকে পরিষ্কার করে। টক্সিন বেরিয়ে যাওয়ার ফলে শরীর অনেকটাই ঝরঝরে লাগে ও ওজন কমতে সাহায্য হয়।