ঠান্ডা ও শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে চুলে আর্দ্রতার অভাব দেখা দেয়, চুল শুষ্ক ও প্রাণহীন হয়ে পড়ে। এ ছাড়া এই শীতে চুলের সঠিক যত্ন না নিলে খুশকির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। খুশকি মাথার ত্বকে সাদা বা হলুদ ফ্লেক্স হিসাবে উপস্থিত হয়, যা শুধুমাত্র চুলের সৌন্দর্যই কমায় না বরং স্ক্যাল্পে চুলকানি এবং জ্বালাপোড়াও হতে পারে।
বলা বাহুল্য, স্ক্যাল্পের এই শুষ্কতা সেবামের উৎপাদনকে প্রভাবিত করে, যা খুশকির কারণ হতে পারে। খুশকির সমস্যা প্রায়ই মাথার ত্বকের সঙ্গে যুক্ত থাকে, যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। এই সমস্যা অনেক ধরনের হতে পারে, যার মধ্যে তৈলাক্ত খুশকি একটি সাধারণ এবং অত্যন্ত ঝামেলাপূর্ণ সমস্যা।
আরও পড়ুন: (Funny Scammer: 'মাম্মা, হায় মাম্মা'! স্ক্যামারের সঙ্গে ঠাট্টা! দেখে হেসে খুন সকলে)
তৈলাক্ত খুশকি কীভাবে হয়
তৈলাক্ত খুশকি স্ক্যাল্পে অতিরিক্ত তেল (সেবাম) তৈরি করে এবং এই তেল স্ক্যাল্পে জমে ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাকের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে। এমতাবস্থায় স্ক্যাল্পে পাওয়া এক বিশেষ ধরনের ছত্রাক, যাকে বলা হয় ম্যালাসেজিয়া ফাঙ্গাস, এই তেলেই জন্মাতে শুরু করে। এই ছত্রাক বৃদ্ধি পেলে এটি স্ক্যাল্পে একটি সাদা স্তর হিসাবে উপস্থিত হতে শুরু করে, এটাই খুশকি।
কীভাবে তৈলাক্ত খুশকি থেকে মুক্তি পাবেন
১. মাথার ত্বক বা পরিষ্কার রাখুন
তৈলাক্ত খুশকি নিয়ন্ত্রণের জন্য স্ক্যাল্প পরিষ্কার রাখা খুবই জরুরি। আপনার ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী একটি ভালো অ্যান্টি-ড্যান্ড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহার করুন, যা চুল এবং স্ক্যাল্প থেকে অতিরিক্ত তেল দূর করে এবং ছত্রাক নিয়ন্ত্রণ করে। শ্যাম্পু ব্যবহার করার সময় এটি চুলে ৩-৪ মিনিট রাখুন, যাতে স্ক্যাল্পে জমে থাকা তেল এবং ময়লা ভালোভাবে পরিষ্কার হয়ে যায়।
২. সঠিকভাবে তেল ব্যবহার করুন
খুশকির সমস্যা থাকলে স্ক্যাল্পে তেল লাগাবেন না। শুধুমাত্র চুলের প্রান্তে তেল লাগানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। নারকেল তেল তৈলাক্ত খুশকির চিকিৎসায় সহায়ক হতে পারে, কারণ এতে ছত্রাক-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যদি আপনার স্ক্যাল্প শুষ্ক হয় তবে আপনি খুব অল্প পরিমাণে নারকেল তেলও স্ক্যাল্পে লাগাতে পারেন, যা আর্দ্রতা জোগায়।
আরও পড়ুন: (New Study on Carnivores: শিয়াল-বিড়াল না খেয়ে নাকি থাকতেই পারত না আদিম মানুষ! সমীক্ষায় উঠে এল অদ্ভুত তথ্য)
৩. সঠিকভাবে চুল ধুতে হবে
আপনার চুল নিয়মিত ধোয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে যদি আপনার স্ক্যাল্প তৈলাক্ত থাকে। ২ দিনে একবার চুল ধুলে স্ক্যাল্পে জমে থাকা তেল এবং ময়লা পরিষ্কার থাকে এবং খুশকির সমস্যাও কম হয়।