পুজো তো এসেই গেল। বছর ঘুরে মা দুর্গা এসেছেন নিজের বাপের বাড়ি পুজো নিতে। আর এই পুজো নিয়ে সবচেয়ে বেশি আনন্দে থাকে ছোটরা। এক তো লম্বা স্কুল ছুটি, পাশাপাশি পড়াশুনার চাপ নেই। আর মা দুর্গার পাশে গণেশ, কার্তিক, সরস্বতী, লক্ষ্মী কিংবা তাঁদের বাহনদের দেখে তো ভীষণ মজা পায় তারা। তা এই আনন্দের দিনগুলিতে তাদের ঘরটাও তো সুন্দর করে গুছিয়ে দেওয়া দরকার।
ঘর গুছানো এমনিতেই বেশ কঠিন কাজ, আর বাচ্চার ঘর তো আরোই। কারণ একইসঙ্গে এটি পড়াশুনা, খেলা কিংবা বিশ্রাম নেওয়ার জায়গা। তাই সেটি যথাযথ ভাবে সাজানো দরকার।
আরও পড়ুন: (উত্সব শুরু! সাজগোজের পাশাপাশি ত্বকের যত্ন কিন্তু নিতেই হবে, মিস করবেন না যেগুলি)
বাচ্চার পছন্দকে গুরুত্ব দিন
আপনার সন্তান কী ধরনের রঙ পছন্দ করে কিংবা কোন কোন খেলনা পছন্দ বা অন্যান্য সবকিছুর ক্ষেত্রেই তার পছন্দের দিকে খেয়াল রাখা উচিত। সেই অনুযায়ী সাজিয়ে দিন তার ঘর।
উচ্চমানের জিনিস
বাচ্চাদের ক্ষেত্রে জিনিসের মান নিয়ে কোনওরকম আপস করা উচিত নয়। ছোট বলে তারা সহজেই জিনিস নষ্ট করে দিতে পারে। তাই ভালো মানের জিনিস দিয়ে ঘর সাজালে জিনিসগুলি টেকসই হবে।
আরও পড়ুন: (তিলোত্তমার ন্যায়বিচারের আশায় এবার দেবীর আরাধনা লন্ডনের প্রবাসী বাঙালিদের)
আরও পড়ুন: (পুজোর আগে বাড়ি গোছানোর তোড়জোড় ? এই টিপসে রুম হয়ে উঠবে আরও সুন্দর)
খোলা জায়গা রাখুন
শিশুদের ঘরে অযথা আসবাবপত্র রাখবেন না। এতে ঘরে জায়গা কমে যায়। তাদের খেলতে অসুবিধে হতে পারে এবং সহজেই ব্যাথাও পেতে পারে।
ঘরের পরিবেশ
বাচ্চার ঘরটি এমন স্থানে বাছুন যেখানে অনেক আলো বাতাস আসে। এতে তার মানসিক বিকাশ হবে সহজেই।
বাচ্চার পছন্দের কর্ণার
আপনার বাচ্চা সবচেয়ে কী ভালোবাসে সেটি বোঝার চেষ্টা করুন। তার পছন্দ অনুসারে ঘরের এক কোনায় জিনিস রাখুন। সেটি হতে পারে তার প্রিয় আঁকার সরঞ্জাম কিংবা প্রিয় গল্পের বই বা তার প্রিয় পুতুলের সংসার।
রঙ
বাচ্চার ঘরের জন্য অবশ্যই উজ্জ্বল রঙ বেছে নেওয়া উচিত। খুব বেশি কারুকার্য না করে সহজ সরল ডিজাইন করলে সেটি শিশুর ঘর হিসাবে মানানসই হবে।
নিরাপত্তা
বাচ্চার ঘরের নিরাপত্তা সবচেয়ে বেশি জরুরী। আপনার পাশের ঘরেই তার ঘর হলেও অবশ্যই ঘরে সিসিটিভি লাগানোর ব্যবস্থা থাকা দরকার।এ ছাড়াও বাড়ির বড়ো ব্যক্তিরা সেখানে বারংবার পর্যবেক্ষণ করতে যাওয়া প্রয়োজন।