চিপ মার্কেটে অমূল্য জিনিসের সন্ধান পেলেন জার্মান ব্যক্তি। সম্প্রতি জার্মানের হামবুর্গের একটি ফ্লি মার্কেটে এমনই এক প্রাচীন নথি খুঁজে পেয়েছেন, যা নিতান্তই দুষ্প্রাপ্য। জানা গিয়েছে, ১৫০ বছরেরও বেশি পুরানো এই নথি। লেখা দেবনাগরী অক্ষরে। সে সময়ে দাঁড়িয়ে, বারাণসীর ভার্গব প্রেস ছেপেছিল এটি।
আরও পড়ুন: (Pneumonia During Pregnancy: গর্ভাবস্থায় নিউমোনিয়া মারাত্মক হতে পারে! সাবধান হবেন কীভাবে, বলছেন চিকিৎসকরা)
এটি কীসের নথি
এই নথি আসলে কীসের তথ্য তুলে ধরে, এর উৎস কোথায়, তা এক দেখাতে বুঝে উঠতে পারেননি জার্মানের ওই ব্যক্তি। তাই অবশেষে সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্য নেন। রেডিটে শেয়ার করেন সংস্কৃত বলে মনে হওয়া দু'টি হলুদ পৃষ্ঠার ছবি। নেটিজেনদের সঙ্গে ছবি শেয়ার করে তিনি লেখেন, জার্মানির হামবুর্গের একটি ফ্লি মার্কেটে এটি পাওয়া গিয়েছে। আপনারা কি আমাকে বলতে পারেন এটি কী? রেডিট ব্যবহারকারীরা তো এটি দেখে হতবাক।
যদিও ভারতীয় ব্যবহারকারীরা দ্রুত এর পরিচয় বুঝে যান। এই নথিটিকে পঞ্চাঙ্গ হিসেবে স্বীকৃতি দেন তাঁরা। এই পঞ্চাঙ্গ হল একধরনের হিন্দু ক্যালেন্ডার। জ্যোতিষশাস্ত্রের বর্ণমালা ঘটনা এবং আচার অনুষ্ঠানের জন্য শুভ সময় নির্ধারণ করতে ব্যবহৃত হয় এত। অনুমান, ১৫০ বছরের পুরনো এই মূল্যবান ক্যালেন্ডার বারাণসীর ভার্গব প্রেসে ছাপা হতো।
আরও পড়ুন: (Boost Stamina: দ্রুত স্ট্যামিনা বাড়াতে ডায়েটে রাখুন এই ৫টি জিনিস, দূর হবে দূর্বলতা)
একজন ব্যবহারকারী আবার বিশদ ব্যাখ্যা করে বলেছেন, এটি একটি হিন্দু ক্যালেন্ডার, যা পঞ্চাঙ্গ নামে পরিচিত, ভার্গব প্রেস দ্বারা মুদ্রিত। প্রেসটির মালিক ছিলেন পণ্ডিত নবল কিশোর ভার্গব, যিনি তৎকালীন সময়ে একজন বিশিষ্ট প্রকাশক ছিলেন। তাঁর নামটি এমনকি মির্জা গালিব ছবিতেও উল্লেখ করা হয়েছে। যেখানে তিনি গালিবের কাজ প্রকাশ করতে অস্বীকার করেছিলেন। ওই ব্যবহারকারীর আরও দাবি, যদি আমি ভুল না হই, এই ক্যালেন্ডারটি সম্ভবত কমপক্ষে ১৫০ থেকে ১৮০ বছরের পুরনো। তিনি আমাদের পূর্বপুরুষ ছিলেন। তাঁর বংশধররা এখনও লখনউতে বসবাস করেন। কিন্তু সেই ঐতিহ্যবাহী প্রেস আর নেই।
এই পাঠ্য সত্যিই কি বিরল
এরপর জার্মান ওই ব্যক্তি নেটজনতাকে সাহায্যের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে, আরও এক প্রশ্ন করে বসেছেন। জানতে চেয়েছেন, এটি কি বিরল? আমি এমনটা জিজ্ঞাসা করছি যাতে আমি এটি এর মূল্য অনুযায়ী সঠিকভাবে গুছিয়ে করতে পারি। আর যদি এটি নিতান্তই সাধারণ হয়, তাহলে এটাকে শুধু আমার দেওয়ালেই ঝুলিয়ে রাখব।
এরপরই আসল উত্তর দেন বেশ কয়েকজন রেডিট ব্যবহারকারী। বলেন যে বিশেষত যেহেতু এটি ভারত থেকে জার্মানি পর্যন্ত গিয়েছে, তাই এই পাঠ্যটি খুব ব্যয়বহুল না হলেও এটির এখনও মূল্য রয়েছে।