এমনিতে দেখলে মনে হবে এ আর এমন কী কাজ। কিন্তু করতে গেলে রীতিমত ঘাম বেরিয়ে যায়। নাহ একটু ভুল হল! ঘাম বেরোলেও বেরোতে পারে, কিন্তু কাজটা হবেই এমন কোনও নিশ্চয়তা নেই। এমন ধরনের কাজ করতে পারলে গিনেস বুকেও নাম উঠে যায়। সম্প্রতি একটি ১৪ বছরের স্কুল পড়ুয়া মেয়ে তাই করে দেখালো। কী কাজ দেওয়া হয়েছিল তাকে? আপাতভাবে শুনলে এমন কিছু কঠিন মনে হবে না। বরং মনে হতে পারে এ আর কী আহামরি। তবে আদতেই বেশ চাপের কাজ এটি।
তাকে বলা হয় জিভ দিয়ে নাক ছুঁয়ে থাকতে হবে। কতক্ষণ? যতক্ষণ সম্ভব ততক্ষণ। এমনিতে অনেকেরই হয়তো এই বিশেষ ক্ষমতাটি রয়েছে। তেমনই রয়েছে এই মেয়েটিরই। তবে এক দু মিনিট নয়, টানা ২২ মিনিট একভাবে নাক ছুঁয়েছিল কিশোরী স্কুল পড়ুয়া। আর সেই সুবাদেই তার নাম উঠে এল এশিয়ার আন্তর্জাতিক বুক অফ রেকর্ডসে।
বেঙ্গালুরু সিটি স্কুলের পড়ুয়া দেবশ্রী অমর থোকালে ১৪ বছর বয়সেই জিতে নিয়েছে একাধিক শিরোপা। কীভাবে? শুধু জিভ দিয়ে নাক ছুঁয়েই। এর আগে নয় বছর বয়সেই একাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মান ছিনিয়ে এনেছে এই বিশেষ প্রতিভার জন্য। টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবর অনুযায়ী, জিভ দিয়ে নাক ছুঁয়ে থাকার এই বিশেষ চমক এর আগে এক ভারতীয় প্রতিযোগী আট মিনিট ধরে দেখিয়ে শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা জিতে নেয়। তবে এবারে আট মিনিটের রেকর্ড ভেঙে এক লাফে ২২ মিনিটে নজির তৈরি হল।
দেবশ্রীর কথায়, ছোটবেলা থেকে একরকম খেলাচ্ছলেই শুরু হয়েছিল এই ছোট্ট স্টান্ট। তবে ধীরে ধীরে এতে দক্ষ হয়ে ওঠে দেবশ্রী। এরপর নয় বছর বয়সেই একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক জিতে নিয়েছে এই বিশেষ চমক দেখিয়ে।
তার কথায়, 'আমার কাছে জিভ দিয়ে নাক ছোঁয়া কোনও ব্যাপারই নয়। খুব সহজেই সেটা করতে পারি। তবে, বেশি সময় ধরে এভাবে নাক ছুঁয়ে থাকতে হলে রীতিমত প্র্যাক্টিস করতে হয়। আমাকে একমাস ধরে বাড়িতে এটা প্র্যাক্টিস করতে হয়। বেশ কয়েকবার করতে গিয়ে ব্যথা লেগেছে। তবে শেষ পর্যন্ত করতে পেরেছি। বন্ধুদের এটা করে দেখানোর পর তারা বেশ প্রশংসা করেছে।'
তাঁর মা তৃপ্তি অমর থোকালের কথায়, 'আমাদের মেয়েকে আমরা ছোট থেকেই এই ব্যাপারে উৎসাহ জুগিয়েছি। সে নিজেও জানত সে পারবে। তাই নিয়মিত প্র্যাক্টিস করেছে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup