চিকিৎসকের পরিভাষায় ডায়াবিটিস একটি ক্রনিক রোগ। এই রোগে অগ্ন্যাশয় স্বাভাবিক পরিমাণে ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না। এই ইনসুলিনের সমস্যা থেকেই দেখা দেয় ডায়াবিটিস। ডায়াবিটিস রোগটি নিজে একা আসে না। বরং ডেকে আনে আরও বেশ কিছু রোগ। ডায়াবিটিস থেকে দেখা দিতে পারে হৃদযন্ত্রের সমস্যা, দৃষ্টির সমস্যা ও কিডনি বিকল হয়ে যাওয়ার মতো গুরুতর রোগ। ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রধান উপায় হল রোজকার ডায়েটে বদল আনা। আমাদের রোজকার ডায়েটে কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার থাকে। যা ডায়াবিটিসের রোগীর জন্য একেবারেই ভালো নয়। অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
সকালের জলখাবারেও তাই কম কার্বোহাইড্রেট থাকা দরকার। এই প্রতিবেদনে থাকছে তেমনই কিছু জলখাবারের হদিশ। এগুলো জলখাবারে খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা অনায়াসেই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
১. ওটমিল: সিরিলজাতীয় খাবারের মধ্যে ওটমিল শরীরের জন্য সবচেয়ে উপকারী। এতে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ বেশি। তবে ফাইবারের পরিমাণও অনেকটা। ফলে এটি খেলে রক্তে শর্করা স্বাভাবিক থাকে। বিটা- গ্লুক্যান নামক ফাইবার রক্তের শর্করা কমাতে সাহায্য করে। প্রথম প্রথম এই সিরিল দিয়ে জলখাবার তৈরি করা যায়।
২. বাদামের মাখন দিয়ে মাল্টিগ্ৰেন টোস্ট: বাদামের মাখনে শরীরের জন্য উপকারী ফ্যাট থাকে। এই ফ্যাট রক্তে শর্করার মিশে যাওয়ার পদ্ধতিকে শ্লথ করে দেয়। এর ফলে রক্তে শর্করা মিশতে বেশি সময় লাগে। যা শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
৩. মাল্টিগ্ৰেন অ্যাভোকাডো টোস্ট: অ্যাভোকাডো ফলটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট। এই ধরনের ফ্যাট শরীরের জন্য উপকারী। অ্যাভোকাডোতে থাকা ফাইবার ও বিশেষ ফ্যাট রক্তে শর্করার মিশে যাওয়ার প্রক্রিয়া শ্লথ করে। এর ফলে শর্করার নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৪. ডিম: শরীরে প্রয়োজনীয় প্রোটিন সরবরাহে ডিমের জুড়ি মেলা ভার। একটি গোটা ডিমে মাত্র ৭০ ক্যালোরি থাকে। পাশাপাশি প্রোটিন থাকে ছয় গ্ৰাম। এছাড়া মাত্র ১ গ্ৰাম কার্বোহাইড্রেট থাকায় ডিম নিশ্চিন্তে আপনার জলখাবারের উপকরণ হতে পারে।
৫. গ্ৰিক ইয়োগার্ট দিয়ে বেরিফল: ইয়োগার্ট ও দই জাতীয় খাবারে থাকে প্রচুর পরিমাণে প্রোবায়োটিক। এই প্রোবায়োটিক রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। ইয়োগার্টের বদলে দইও থাকতে পারে সকালের জলখাবারে।