সারা বিশ্বেই ব্যাপক হারে বেড়ে চলেছে ডায়াবিটিস। বর্তমানে এটি একটি মারণ রোগে পরিনত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০১৪ সালে সারা বিশ্বে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪২২ মিলিয়ন। ২০২২-এ সংখ্যাটা বেড়েছে বৈ কমেনি। ভারতে মোট ৭৭ মিলিয়ন মানুষ ডায়াবিটিস রোগে আক্রান্ত। ডায়াবিটিসের চিকিৎসায় ওষুধের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ হল প্রতিদিনের ডায়েট। চিকিৎসকের ঠিক করে দেওয়া ডায়েট মেনে চললে ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। এমনকি সঠিক ডায়েট ডায়াবিটিস এড়াতেও সাহায্য করে। ডায়েট মেনে না চলার কারণেই বাড়তে থাকে এই রোগের আশঙ্কা।
অনেকের ধারণা, বয়স চল্লিশ বছর পেরোলে ডায়াবিটিসের সমস্যা দেখা দেয়। এটি সম্পূর্ণ ভুল। অনেক কমবয়সীরাও এখন ডায়াবিটিসে ভুগছে। এমন কচিকাঁচাদের মধ্যেও দেখা দিচ্ছে টাইপ-২ ডায়াবিটিস।
যেকোনও বয়সেই ডায়াবিটিস দেখা দিতে পারে। কীভাবে এর লক্ষণ বোঝা সম্ভব? ডায়াবিটিস হলে সারা শরীরেই বেশকিছু লক্ষণ ফুটে ওঠে। ঘনঘন প্রস্রাব, অতিরিক্ত জল খাওয়া, ক্লান্তি ইত্যাদি এর প্রাথমিক লক্ষণ। এছাড়াও, মুখের ভিতরে বেশকিছু লক্ষণ দেখা যায়। এগুলো দেখলে ডায়াবিটিস হয়েছে কিনা তা সহজেই টের পাওয়া যায়।
১.মাড়ির সমস্যা: রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়লে জীবাণুর সংক্রমণ বেড়ে যায়। এর ফলে মুখেও ফুটে ওঠে তার লক্ষণ। মাড়ির চারপাশে জ্বালা জ্বালা ভাব, লাল হয়ে ফুলে যাওয়া, কালশিটে দাগ বা মাড়ি থেকে রক্তপাতের মতো ঘটনা এক্ষেত্রে দেখা যেতে পারে। ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে না থাকলে, মাড়ির সমস্যা আরও বেড়ে যায়। এই সময় দাঁতও ক্ষয়ে যেতে থাকে। যাদের রক্তে শর্করার পরিমাণ অনেকটা বেশি, তাদের ক্ষেত্রে মুখে দুর্গন্ধ হয়। পাশাপাশি খাবারে কামড় দেওয়ার সময় মাড়িতে ব্যথা করে। মুখ শুকিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মাড়ি ও দাঁতের চারপাশে লালা উৎপাদনও কমে যায়।
২. শুকনো মুখ: টাইপ ১ ও টাইপ ২ দুইরকম ডায়াবিটিসেরই প্রাথমিক লক্ষণ হল মুখ ও গলা শুকিয়ে আসা। এক্ষেত্রে জিভ শুকিয়ে যাওয়া, মুখের ভিতরের লালা কমে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে থাকে। এছাড়া খাবার গেলার সময়েও সমস্যা হয়।
৩. দাঁতের ক্ষতি: বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ডায়াবিটিসের রোগীরা দাঁতের সমস্যায় বেশি ভোগেন। যারা নিয়মিত দাঁতের যত্ন নেন না, তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা আরও বাড়ে। দাঁতের ব্যথার সঙ্গে সঙ্গে ঘা-ও দেখা দিতে পারে।