ডায়রিয়ার মতো রোগ যে কেবল বড়দের হয় এমনটা কিন্তু মোটেই নয়। ছোটদেরও হতে পারে। শিশুদের ডায়রিয়া হোল তাদের পেট খারাপ হয়, সঙ্গে থাকে বমি এবং অস্বস্তি ভাব। পাঁচ বছর বা তার কম বছর বয়সী শিশুদের মধ্যেই মূলত এই রোগটি দেখা যায়। এছাড়াও এই রোগের আরও একাধিক লক্ষণ রয়েছে। কিন্তু অনেক সময় বাড়ির খুদে সদস্যের ডায়রিয়া হলে আমরা বুঝতে পারি না। আসুন দেখে নিন কীভাবে বুঝবেন যে আপনার সন্তানের ডায়রিয়া হয়েছে কিনা।
এই প্রতিবেদন থেকে সবিস্তারে জেনে নিন শিশুদের কেন ডায়রিয়া এবং তার লক্ষণগুলো কী কী?
শিশুদের ডায়রিয়া হওয়ার কারণ।
বাড়ির ছোট সদস্যদের একাধিক কারণে ডায়রিয়া হতে পারে। এর অন্যতম কারণগুলো হল ভাইরাসের আক্রমণ। শরীরে ভাইরাস আক্রমণ করলে ডায়রিয়া হতে পারে। মূলত শিশুদের বয়স যখন খুব কম থাকে তখন এটা হতেই পারে। এটা সাধারণত তাদের খাবারে পরিবর্তন এলে হয়ে থাকে। বেশি পরিমাণে ফলে রস খাওয়ালে, বা কোনও নির্দিষ্ট ফল বা খাবার তার সহ্য না হলে, কিংবা কোনও ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে এই রোগ হতে পারে।
ডায়রিয়া হওয়ার লক্ষণ কী শিশুদের মধ্যে?
শিশুদের ডায়রিয়া হলে অনেক সময়ই বাবা মায়েরা পাত্তা দেন না। ভাবেন বুঝি নিছক পেট খারাপ হয়েছে। তাই আগে থেকে জেনে নিন এই রোগের লক্ষণগুলো কী কী কারণ একবার ডায়রিয়া হলে সেটা ফেলে রাখা মোটেই কাজের কথা নয়। ডায়রিয়া হলে যেমন তাদের পেট খারাপ হবে, তেমনই হবে পেট ব্যথা এবং পেটের পেশিতে টান ধরার মতো সমস্যা। হতে পারে ডিহাইড্রেশন সহ ত্বকের সমস্যা। এই লক্ষণগুলো আপনার শিশুর মধ্যে দেখতে পেলে ঘাবড়ে না গিয়ে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যান এবং চিকিৎসা শুরু করুন।
ডায়রিয়া হলে কী করবেন?
আপনার শিশুর ডায়রিয়া হলে আর তার বয়স যদি খুব কম হয় তাহলে তাকে স্তন্যপান করান। এতে তার শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হবে। খুব ছোট বয়স থেকেই আপনার সন্তানের মধ্যে হাত ধুয়ে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। স্যানিটাইজার ব্যবহার শেখান। কিছু হলেই তাকে সবার আগে এক গাদা ওষুধ খাওয়াবেন না। আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সেই অনুযায়ী চলুন।
সন্তানের ডায়রিয়া হলে তাকে নারকেলের জল দিতে পারেন। এর মধ্যে থাকা মিনারেল এবং ভিটামিন ইলেকট্রোলাইট পেট ভালো রাখবে এবং এনার্জি জোগাবে। শরীরের জলের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে এটি। একই সঙ্গে পেটে থাকা ময়লা এবং দূষিত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে ডাবের জল। আর যদি তেমন মনে করেন ওআরএসের জল বা নুন চিনি জল দিতে পারেন। এটাও এনার্জি জোগাতে এবং পেট ঠিক রাখতে সাহায্য করে।