পরিবেশ বাঁচানোর লড়াইয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই রয়েছেন হলিউড অভিনেতা লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও। পরিবেশরক্ষার জন্য বিভিন্ন মানুষ, প্রতিষ্ঠান এবং সরকারের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন এই অভিনেতা। হালে তিনি নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় ঢেলে প্রশংসা করলেন বাংলাদেশ সরকার, সাধারণ মানুষ এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের। কারণটি কী?
কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে ৯ কিলোমিটার দক্ষিণে নাফ নদীর মোহনায় অবস্থিত সেন্ট মার্টিন দ্বীপটি বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ। এই এলাকাটিকে মেরিন প্রোটেক্টেড এরিয়া (MPA) ঘোষণা করে সেখানকার জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে সে দেশের সরকার। এলাকার সাধারণ মানুষ এবং স্বেচ্ছাসেবীরাও নজর রাখছে, যাতে ওই এলাকার পরিবেশ কোনও ভাবে নষ্ট না হয়।
সেন্ট মার্টিন দ্বীপে মাত্রাতিরিক্ত পর্যটক যাতায়াতের কারণে সেখানকার পরিবেশের অবনতি হচ্ছিল, এমনই বলছিলেন বিজ্ঞানীরা। এছাড়া জাগাজ চলাচল, বর্জ্য ফেলার কারণেও ক্ষতি হচ্ছিল প্রবালের।
বাংলাদেশের সমুদ্র বিজ্ঞানী এবং পরিবেশবিদরা অনেক দিন ধরেই দাবি করে আসছিলেন সেন্ট মার্টিনকে মেরিন প্রোটেক্টেড এরিয়া ঘোষণা করার। তাঁদের সেই দাবি শেষ পর্যন্ত মেনে নিয়েছে সরকার। শুধু সরকারই নয়, এই দ্বীপকে বাঁচাতে প্রচুর বেসরকারি সাহায্যও এসেছে।
এই দ্বীপে পর্যটনের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়ে অবশ্য সন্দেহ রয়েছে। এখানে শতাধিক রিসর্ট এবং হোটেল রয়েছে। সেগুলি নিয়ে কী করা হবে, পর্যটকদের এই দ্বীপে আসার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ হবে কি না, সবই ক্রমশ বোঝা যাবে।
তবে বাংলাদেশের উপকূল সংলগ্ন এলাকার সামুদ্রিক পরিবেশ বাঁচাতে এই উদ্য়োগ যে খুবই সাধু, তা অনেকেই বলছেন। সেই তালিকায় এবার যুক্ত হল লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওর নাম।