Dipanwita Laxmi Puja 2024 Timings: কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো ছাড়াও কালীপুজোর সন্ধ্যেবেলা দীপান্বিতা লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন করা হয় অনেক বাড়িতে। বাংলার পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলের জেলাগুলিতে এই দীপান্বিতা লক্ষ্মীপুজো বহুল প্রচলিত। এই দিন মা কালীর আরাধনা করার পাশাপাশি মা লক্ষ্মীর আরাধনাও করা হয়। তবে এই দিন আপনি করতে পারবেন না একটি ছোট্ট কাজ।
শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ নয়, দীপাবলীর দিন দেবী লক্ষ্মী এবং গণেশের পুজোর প্রচলন রয়েছে সারা ভারতবর্ষ জুড়ে। তবে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো যেমন পূর্ণিমা তিথিতে হয় তেমন দীপান্বিতা লক্ষ্মী পুজো হয় অমাবস্যা তিথিতে। কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথির শুভক্ষণ ধরে এই লক্ষ্মী পুজো অনুষ্ঠিত হয়।
দীপান্বিতা লক্ষ্মী পুজোর শুভ সময় কী?
চলতি বছর শ্যামা পুজোর তিথি শুরু হতে চলেছে ৩১ অক্টোবর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দুপুর ৩:৩২ মিনিট নাগাদ। তিথি থাকবে পরের দিন অর্থাৎ ১ নভেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যে ৬:১৬ মিনিট পর্যন্ত। এই শুভ মুহূর্তের মধ্যেই অনেক বাড়িতে কালী পুজোর পাশাপাশি করা হয় দীপান্বিতা লক্ষ্মী পুজো।
(আরও পড়ুন: বৃন্দাবন থেকে রাশিয়া, ২০২৪-এ বারাসতের সেরা ১০ পুজো! না দেখলেই নয়)
কালী পুজো মূলত অনুষ্ঠিত হয় মধ্যরাতে। ২০২৪ সালে ৩১ অক্টোবর রাত ১১:৪৭ থেকে ১২:৪৯ মিনিট পর্যন্ত নিশীথ পুজোর সময় পড়েছে। ঐদিন উপোস করে সারারাত পুজো দেন অনেকে। ওই একই দিনে মন্দিরে এবং বাঙালির ঘরে ঘরে পূজিত হন মা লক্ষ্মীও।
দীপান্বিতা লক্ষ্মী পুজোয় ভুলেও করবেন না এই কাজ
শ্যামা পুজোর দিন লক্ষ্মী পুজো করার আরও একটি কারণ হলো মনে করা হয় এই দিন লক্ষ্মী পুজো করলে জীবন থেকে সরে যায় সমস্ত দুঃখ দুর্দশা। ঘরে আসে সুখ সমৃদ্ধি। অর্থের কোনও অভাব হয় না দীপান্বিতা লক্ষ্মী পূজো করলে। তবে পুজোর পাশাপাশি মনে রাখতে হবে এই দিন অবশ্যই কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।
দেবী লক্ষ্মী অপরিচ্ছন্নতা কোনওভাবেই পছন্দ করেন না তাই গঙ্গাজল দিয়ে সারা বাড়ি পরিশুদ্ধ করে নিতে হবে আপনাকে। লক্ষ্মী পুজোর আগে থেকেই সারা বাড়ি পরিষ্কার করে রাখতে হবে। ঘরের যে স্থানে পুজো করবেন সেখানে লাল কাপড় আসন হিসেবে ব্যবহার করে তার ওপর রাখতে হবে কয়েকটি দানাশস্য। এরপর প্রতিমা বা ছবি পূর্ব দিক করে বসিয়ে রাখতে হবে।
(আরও পড়ুন: পাতাল ভেদ করে উঠে আসেন দেবী! রাজা সাবর্ণর পাওয়া স্বপ্নাদেশেই শুরু এই পুজো)
দেবীর সামনে স্থাপন করতে হবে রুপো বা পিতলের ঘটি। ঘটির মধ্যে দিতে হবে সুপারি, গাঁদা ফুল এবং কয়েকটি চালের দানা। সবশেষে উপর থেকে দিয়ে দিতে হবে আম্র পল্লব। পুজোয় ব্যবহার করুন হলুদ গাঁদা অথবা যে কোনও সাদা ফুলের মালা। তবে তুলসী পাতা একেবারেই ব্যবহার করবেন না।
মায়ের সামনে জ্বালিয়ে রাখুন প্রদীপ বা মোমবাতি। চেষ্টা করুন সেটি যেন সারারাত জ্বালিয়ে রাখতে পারেন। ঘরের কোনও স্থান যেন অন্ধকার না থাকে সেই দিকে লক্ষ্য রাখবেন। সারারাত মোমবাতি বা প্রদীপের আলোয় আলোকিত করে রাখুন আপনার ঠাকুর ঘর।