শিশুদের শৃঙ্খলাবদ্ধ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু অনেক সময় কঠোর আচরণ তাদের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাদের মানসিক বিকাশের জন্য ভালোভাবে শৃঙ্খলাবদ্ধ করার পদ্ধতি অনুসরণ করা উচিত।
ইতিবাচক শৃঙ্খলা কেন গুরুত্বপূর্ণ?
শারীরিক শাস্তি বা চিৎকার শিশুর উপর দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এটি তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে এবং আত্মবিশ্বাস নষ্ট করতে পারে। তাই শাস্তির পরিবর্তে ইতিবাচক শৃঙ্খলা পদ্ধতি গ্রহণ করা উচিত, যা শিশুর সঙ্গে সুস্থ সম্পর্ক গড়ে তুলতে এবং তাদের মধ্যে দায়িত্ববোধ, সহযোগিতা ও আত্মনিয়ন্ত্রণের গুণাবলী বিকাশে সহায়তা করে।
১. ইতিবাচক ব্যবহার
শিশুরা প্রশংসা এবং পুরস্কার পেতে ভালোবাসে। ভালো আচরণের জন্য তাদের প্রশংসা করুন বা ছোটখাটো পুরস্কার দিন। এতে তারা বুঝবে কোন আচরণগুলি গ্রহণযোগ্য।
২. স্পষ্ট নিয়ম তৈরি করুন
বাড়িতে এবং বাইরের পরিবেশে কীভাবে আচরণ করতে হবে তা শিশুদের স্পষ্টভাবে বোঝান। নিয়মগুলি সহজ ও বোধগম্য হতে হবে।
৩. সময় দিন ও কথা বলুন
শিশুরা সবসময় যা করছে তার কারণ বুঝতে পারে না। তাই তাদের সঙ্গে সময় নিয়ে কথা বলুন এবং কেন নির্দিষ্ট একপ্রকার আচরণ আপনি তাদের থেকে আশা করছেন তা বুঝিয়ে বলুন।
আরও পড়ুন - বাবা মায়ের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি? কুপ্রভাব সন্তানের উপর পড়ছে না তো
৪. ধৈর্য ধরুন
শিশুরা ভুল করতে পারে, কিন্তু ধৈর্য ধরে তাদের শেখানোই আসল কৌশল। রাগ দেখানোর পরিবর্তে শান্তভাবে সমস্যার সমাধান করুন।
৫. বিকল্প দিন
অযথা উত্তেজিত না হয়ে যদি তারা কিছু ভুল করে, তবে কীভাবে তা সঠিকভাবে করা যায় তার বিকল্প দেখান। এতে তারা শেখার সুযোগ পাবে।
৬. ফলাফলের কথা বোঝান
যদি আপনার শিশু কোনও নিয়ম ভাঙে, তবে তাৎক্ষণিক রাগ না করে তাদের বোঝান কেন এটি ভুল এবং কীভাবে এটি সংশোধন করা যায়।
৭. একান্ত সময় কাটান
প্রতিদিন কিছু সময় শিশুর সঙ্গে একান্তে কাটান, কমপক্ষে ২০ মিনিট। এই সময়ে টিভি বা ফোন বন্ধ রেখে শিশুর সঙ্গে কথা বলুন বা একসঙ্গে খেলুন।
আরও পড়ুন - Children Health: শিশুরা নাকি ভয়ঙ্কর বিপদের সামনে! কেন এই কথা বলছেন বিজ্ঞানীরা
শিশুদের শৃঙ্খলাবদ্ধ করার জন্য কঠোর হওয়ার প্রয়োজন নেই। বরং ধৈর্য, ভালোবাসা এবং বোঝাপড়ার মাধ্যমে তাদের সঠিক পথে পরিচালিত করা সম্ভব।