হালে সারা পৃথিবীতেই হলুদের ব্যবহার বেড়েছে। যদিও ভারতে হাজার হাজার বছর ধরে রান্নায় হলুদ ব্যবহার হয়ে আসছে। শুধু রান্নাতেই বা কেন, আয়ুর্বেদে এই হলুদের নানা গুণের কথা উল্লেক করা হয়েছে। তাই ভারতীয়রা বহু বছর ধরেই হলুদ খাচ্ছেন। কখনও রান্না, আবার কখনও দুধ বা চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে অনেকেই হলুদ খান।
কিন্তু শরীরে হলুদ কেমন প্রভাব ফেলে? সম্প্রতি Health Optimising Biohacker-এর অন্যতম প্রধান টিম গ্রে হলুদ নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন। তাঁর মতে, ভারতীয় আয়ুর্বেদ এবং চিনের প্রাচীন চিকিৎসাশাস্ত্রে হলুদকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়ছে। এর কারণ আছে। (আরও পড়ুন: আম খেতে তো ভালোবাসেন! কিন্তু সম্পর্কে এই সব রসালো তথ্য জানা আছে কি)
হলুদ খেলে কী হয়? টিমের বক্তব্য হলুদে কারকিউমিন নামের একটি উপাদান রয়েছে। সেটি শরীরে নানা ধরনের প্রভাব ফেলে। দেখে নেওয়া যাক, সেগুলি কী কী। কোন কোন সমস্যা কমাতে পারে হলুদ? (আরও পড়ুন: বারবার শরীর খারাপ হচ্ছে? সেপসিস নয় তো? কোন কোন লক্ষণ দেখলেই সাবধান হবেন)
অস্টিওআর্থারাইটিস: হলুদের উদ্ভিদ যৌগগুলির মধ্যে অন্যতম হল কারকিউমিন। এটি শরীরের প্রদাহ সৃষ্টিকারী যৌগগুলির পরিমাণ কমায়। ফলে কমে যায় অস্টিওআর্থারাইটিসের মতো অসুখ।
অতিরিক্ত মেদ বা ওবেসিটি: শরীরে অতিরিক্ত মেদ বা ওবেসিটির জন্য অনেক সময়ে দায়ী হয় এই প্রদাহ সৃষ্টিকারী যৌগগুলি। নিয়মিত হলুদ খেলে এই সমস্যাও কিছুটা কমতে পারে।
হৃদরোগ: হার্টের নানা ধরনের অশুখের জন্য দায়ী LDL cholesterol এবং triglycerides। এই দু’টিকেই কমাতে পারে হলুদ। ফলে নিয়মিত হলুদ খেলে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কাও অনেকখানি কমে যায়।
ডায়াবিটিস: নিয়মিত হলুদ খাচ্ছেন? জেনে রাখবেন, ডায়াবিটিসের আশঙ্কা কমছে। হলুদ মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে কমে যায় ডায়াবিটিসের আশঙ্কা।
লিভারের অসুখ: হলুদ লিভারের অশুখ ঠেকাতে দারুণ কার্যকর। এটি নিয়মিত খেলে লিভারের কার্যক্ষমতাও বাড়ে।
ফাংগাসজাতীয় অসুখ: ফাংগাসের কোষে ঢুকে গিয়ে কারকিউমিন সেগুলির বৃদ্ধির পথে বাধা সৃষ্টি করে। ফলে ফাংগাস বা ছত্রাকজাতীয় সংক্রমণ থেকে বাঁচতে নিয়মিত হলুদ খেতে পারেন।
ব্যাকটিরিয়াজাত সংক্রমণ: হলুদে ব্যাকটিরিয়া বিরোধী যৌগ রয়েছে। ফলে এটি এই জাতীয় সংক্রমণ আটকাতে খুবই কার্যকর।
ফলে হলুদ খাওয়া শরীরের জন্য খুবই ভালো। এবং ভারতের মতোই এখন পশ্চিমের দেশগুলিও এই ভেষজটির গুরুত্ব বুঝতে পারছে। এমনই মত টিমের।