দুর্গাপুজো আর দেদার হইচইয়ের সঙ্গে খানাপিনা মস্ত জায়গা জুড়ে থাকে। এক একদিন এক এক বন্ধু বা পরিবারের সঙ্গে প্ল্যান থাকে। সঙ্গে থাকে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে খাবার পরিকল্পনা। অথবা বাড়িতেই আড্ডা এবং খাওয়া দাওয়ার ভাবনা থাকে। কিন্তু এদিকে আবার অনেক বাড়িতেই দুর্গাপুজোর সময়, অর্থাৎ অষ্টমীর দিন নিরামিষ খেতে হয়। সেক্ষেত্রে কী করবেন ভাবছেন? কেন নিরামিষ কত পদ তো আছে যা দারুন উপাদেয়।
দেখুন পাতুরির প্রতি বাঙালির একটি বিশেষ দুর্বলতা আছে। তো পুজোতে একদিন বানিয়ে ফেলুন পাতুরি। কিন্তু এবার নাহয় নিরামিষ পাতুরি বানালেন। ভেটকি, ইলিশ বাদ, বানান ছানার পাতুরি। অষ্টমীর দুপুরে ভাত বা পোলাওয়ের সঙ্গে দারুন জমে যাবে। ভাবছেন কী করে বানাবেন? আসুন দেখে নেওয়া যাক পদ্ধতি।
ছানার পাতুরি বানানোর পদ্ধতি:
উপকরণ: ছানা ৬০০ গ্রাম, ২ চামচ সর্ষের তেল, ৩ চামচ সর্ষে বাটা, আধ চামচ হলুদ গুঁড়ো, এক চামচ কাঁচা লঙ্কা বাটা, গন্ধরাজ লেবুর রস, নুন, চিনি, ৬টা কলাপাতা। এই কলাপাতাগুলোকে ছোট ছোট করে কেটে নেবেন।
পদ্ধতি: বাড়িতে ছানা তৈরি করতে পারেন, বা সোজাসুজি দোকান থেকে কিনে আনতে পারেন। যদি বাড়িতে ছানা তৈরি করতে চান তার জন্য আপনাকে দুধ কাটিয়ে জল ঝরিয়ে সবার আগে ছানা তৈরি করে নিতে হবে। এরপর সেই ছানার মধ্যে দিয়ে দিন সর্ষের তেল, হলুদ গুঁড়ো, কাঁচা লঙ্কা বাটা, নুন, এবং চিনি। এবার পুরোটাকে ভালো করে মিশিয়ে অন্তত এক ঘণ্টা রেখে দিন। এবার এক ঘণ্টা বাড়ে, আগে তৈরি করে রাখা ছানার মধ্যে দিন এক চামচ সর্ষে বাটা, সর্ষের তেল আর সামান্য চিনি। সঙ্গে দিন অল্প লেবুর রস। এটাকে মাখিয়ে আরও আধ ঘণ্টা রাখুন।
আধ ঘণ্টা পর, ছানাটাকে ছোট ছোট করে কেটে কলাপাতায় মুড়িয়ে নিন। এবার সেটাকে হয় সুতো দিয়ে অথবা টুথপিক দিয়ে আটকে দিন। এবার ভাপে বসান এই কলাপাতায় মোড়ানো ছানার পাতুরিগুলোকে। যতক্ষণ না ছানা সেদ্ধ হচ্ছে ততক্ষণ এগুলোকে ভাপে রাখুন। ভাপা হয়ে গেলে নামিয়ে নিন। তারপর যখন এটা ঠাণ্ডা হয়ে যাবে তখন পরিবেশন করুন ছানার পাতুরি।